ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিনি নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ চলছেই

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা ও প্যাকেট চিনি। লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার উপরে। অথচ সরকার থেকে প্রতি কেজি সাদা খোলা চিনি ভোক্তা পর্যায়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্যাকেট চিনি নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১১২ টাকা। এ বিষয়ে দোকানদাররা বলছেন, ১০৭ টাকায় তারা চিনি কিনতেও পাচ্ছেন না। অপরদিকে ভোক্তারা বলছেন চিনি নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি চলছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহল্লার বিভিন্ন দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। বড় দোকনাগুলোতে একই দামে অল্প কিছু প্যাকেট চিনি পাওয়া গেলেও অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। রাজধানীর মুগদা এলাকার মুদি দোকানি মিঠু মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে চিনি পাওয়াই যেত না। এখন পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কেনা দামই পড়ে যাচ্ছে ১০৮-১১০ টাকা। কাজেই আমাদেরকে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’ ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীও ‘চিনি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে’ বলে জানান।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা বাবলু জানান, মিল থেকে প্রতি কেজি চিনি কিনতে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা খরচ পড়ে যায়। ১ টাকা লাভে তারা কারওয়ান বাজার থেকে চিনি ছাড়েন। মিল কিংবা পাইকারি পর্যায়ে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দাম একটু বাড়তি। কী কারণে বাড়তি, সেটা তো আমরা বলতে পারব না।

এদিকে আসন্ন রমজান মাসে বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চিনি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গেল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানিয়েছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আমদানিকারকদের বিনা শুল্কে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি খালাস করার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে আমদানি শুল্ক কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে চিনির পাইকারি বাজারে। গত তিনদিনে মণ প্রতি ৬০ টাকা কমেছে চিনির মূল্য। কিন্তু সেই প্রভাব এখনও খুচরা বাজারে পরেনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আবুল হাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভ্যাট কমানোর ঘোষণার পর মিল থেকে চিনির দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এসও পর্যায়ে দাম কিছুটা ডাউন। যারা মিল থেকে প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে চিনি কিনেছিল, তারও ১/২ টাকা কমে চিনি ছেড়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চিনি নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ চলছেই

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা ও প্যাকেট চিনি। লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার উপরে। অথচ সরকার থেকে প্রতি কেজি সাদা খোলা চিনি ভোক্তা পর্যায়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্যাকেট চিনি নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১১২ টাকা। এ বিষয়ে দোকানদাররা বলছেন, ১০৭ টাকায় তারা চিনি কিনতেও পাচ্ছেন না। অপরদিকে ভোক্তারা বলছেন চিনি নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি চলছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহল্লার বিভিন্ন দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। বড় দোকনাগুলোতে একই দামে অল্প কিছু প্যাকেট চিনি পাওয়া গেলেও অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। রাজধানীর মুগদা এলাকার মুদি দোকানি মিঠু মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে চিনি পাওয়াই যেত না। এখন পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কেনা দামই পড়ে যাচ্ছে ১০৮-১১০ টাকা। কাজেই আমাদেরকে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’ ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীও ‘চিনি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে’ বলে জানান।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা বাবলু জানান, মিল থেকে প্রতি কেজি চিনি কিনতে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা খরচ পড়ে যায়। ১ টাকা লাভে তারা কারওয়ান বাজার থেকে চিনি ছাড়েন। মিল কিংবা পাইকারি পর্যায়ে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দাম একটু বাড়তি। কী কারণে বাড়তি, সেটা তো আমরা বলতে পারব না।

এদিকে আসন্ন রমজান মাসে বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চিনি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গেল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানিয়েছে এনবিআর। প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আমদানিকারকদের বিনা শুল্কে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি খালাস করার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে আমদানি শুল্ক কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে চিনির পাইকারি বাজারে। গত তিনদিনে মণ প্রতি ৬০ টাকা কমেছে চিনির মূল্য। কিন্তু সেই প্রভাব এখনও খুচরা বাজারে পরেনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আবুল হাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভ্যাট কমানোর ঘোষণার পর মিল থেকে চিনির দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এসও পর্যায়ে দাম কিছুটা ডাউন। যারা মিল থেকে প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে চিনি কিনেছিল, তারও ১/২ টাকা কমে চিনি ছেড়েছে।’