ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি হারানোর শঙ্কায় রুয়েটের ১৩৭ শিক্ষক-কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

সৌমিক সরকার রাহুল। রুয়েটে চাকরি করছেন সহকারী নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। ২০২১ সালের পহেলা জুন এই পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর ভালোই কোথায়? চলছিলো সৌমিককের সবকিছু। তবে হঠাৎ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি চিঠি তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে। গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে রুয়েটের সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে দেয়া নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এই চিঠিতে নড়বড়ে হয়ে যায় সৌমিকের সবকিছু।

শুধু সৌমিকই নয় তার মত রুয়েটের ১৩৭ জন চাকরিজীবী। এদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের দায়ে তাদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এই চিঠি আসার খবরে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। তারা বলছেন, তারা এতদিন চাকরি করার পর হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক তথ্য শুনে তারা যেন আকাশ থেকে পড়ছেন।

সৌমিক সরকার রাহুল বলেন, আমি যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছি।

নিয়োগ বোর্ডে কে থাকবে আর কে থাকবে না তা চাকরিপ্রার্থীর জানার বিষয় নয়। এখন হঠাৎ করে চাকরি নাই বললে আমরা কোথায় যাবো? এখানে আমাদের দোষ কোথায়।

গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে দেয়া নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করে।

সেখানে লিখা আছে, যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ ও বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩ এর ১০ (৩) এবং ১১ (৮) ধারার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় আইনের মৌখিক প্রিন্সিপাল অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গৃহীত ও সম্পাদিত কার্যক্রম শুরু থেকে বাতিল অর্থাৎ Void ab initio হিসেবে গণ্য হবে মর্মে উল্লেখ আছে যেহেতু এ সংক্রান্ত সকল নিয়োগ বাতিল করা হলো।

কিন্তু রুয়েট অডিনেসন্স এ ১০ ধারার ৩ উপ ধারায় বলা আছে, ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূন্য হইলে কিংবা ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য
কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ভাইস- চ্যান্সেলর পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ভাইস- চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন।

এছাড়াও ১১ এর ৮ উপ ধারায় বলা আছে, ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করিলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারবেন। কিন্তু রুয়েটের কোন উপ-উপাচার্য নেই। তবে তৎকালীন সময়ে এই পোস্টে কোন নিয়োগ নেই।

এদিকে, নিয়োগ বাতিলের এই চিঠি দেখে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন।

নিয়োগ প্রাপ্ত সেকশন অফিসার আ.ফ.ম. মাহমুদুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত সচিব সিন্ডিকেট সদস্য আমাদের নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছেন কিন্তু এতদিন পর ঐ মন্ত্রনালয় থেকে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা কিভাবে সম্ভব তা আমাদের বোধগম্য নয়।

কেয়ারটেকার মেহেদী হাসান পান্না বলেন, আমার পরিবার আমার উপার্জনের উপর নির্ভরশীল, এতদিন পর যদি চাকরি না থাকে তাহলে আমার ও আমার পরিবারের কী হবে ? আমার চাকরিতে আবেদন করার বয়সও শেষ। এমতাবস্থায় কোন দোষ ছাড়া আমাকে চাকরিচ্যুত করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।

সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোঃ নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, স্বামি ২০২১ সালের ১ জুন থেকে রুয়েটের সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছি। ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় কার্ড পাওয়ার পরেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। এখন নিয়োগ বোর্ডে কোন অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতির দায়ভারতো আমার না। অনেক বড় অনিয়ম করে এখানে একাধিক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করছে। অথচ আমরা দোষী না হয়েও শাস্তি পাবো এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে যা যা করার দরকার করবো।

রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংএ আছি এই বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারো না। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়িই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের এই চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রনালয়। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাকরি হারানোর শঙ্কায় রুয়েটের ১৩৭ শিক্ষক-কর্মচারী

আপডেট সময় : ০৭:০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

সৌমিক সরকার রাহুল। রুয়েটে চাকরি করছেন সহকারী নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। ২০২১ সালের পহেলা জুন এই পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর ভালোই কোথায়? চলছিলো সৌমিককের সবকিছু। তবে হঠাৎ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি চিঠি তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে। গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে রুয়েটের সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে দেয়া নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এই চিঠিতে নড়বড়ে হয়ে যায় সৌমিকের সবকিছু।

শুধু সৌমিকই নয় তার মত রুয়েটের ১৩৭ জন চাকরিজীবী। এদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের দায়ে তাদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এই চিঠি আসার খবরে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। তারা বলছেন, তারা এতদিন চাকরি করার পর হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক তথ্য শুনে তারা যেন আকাশ থেকে পড়ছেন।

সৌমিক সরকার রাহুল বলেন, আমি যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছি।

নিয়োগ বোর্ডে কে থাকবে আর কে থাকবে না তা চাকরিপ্রার্থীর জানার বিষয় নয়। এখন হঠাৎ করে চাকরি নাই বললে আমরা কোথায় যাবো? এখানে আমাদের দোষ কোথায়।

গত ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে দেয়া নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করে।

সেখানে লিখা আছে, যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ ও বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩ এর ১০ (৩) এবং ১১ (৮) ধারার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় আইনের মৌখিক প্রিন্সিপাল অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গৃহীত ও সম্পাদিত কার্যক্রম শুরু থেকে বাতিল অর্থাৎ Void ab initio হিসেবে গণ্য হবে মর্মে উল্লেখ আছে যেহেতু এ সংক্রান্ত সকল নিয়োগ বাতিল করা হলো।

কিন্তু রুয়েট অডিনেসন্স এ ১০ ধারার ৩ উপ ধারায় বলা আছে, ভাইস-চ্যান্সেলরের পদ শূন্য হইলে কিংবা ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য
কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা ভাইস- চ্যান্সেলর পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ভাইস- চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন।

এছাড়াও ১১ এর ৮ উপ ধারায় বলা আছে, ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজন মনে করিলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারবেন। কিন্তু রুয়েটের কোন উপ-উপাচার্য নেই। তবে তৎকালীন সময়ে এই পোস্টে কোন নিয়োগ নেই।

এদিকে, নিয়োগ বাতিলের এই চিঠি দেখে ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন।

নিয়োগ প্রাপ্ত সেকশন অফিসার আ.ফ.ম. মাহমুদুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত সচিব সিন্ডিকেট সদস্য আমাদের নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছেন কিন্তু এতদিন পর ঐ মন্ত্রনালয় থেকে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা কিভাবে সম্ভব তা আমাদের বোধগম্য নয়।

কেয়ারটেকার মেহেদী হাসান পান্না বলেন, আমার পরিবার আমার উপার্জনের উপর নির্ভরশীল, এতদিন পর যদি চাকরি না থাকে তাহলে আমার ও আমার পরিবারের কী হবে ? আমার চাকরিতে আবেদন করার বয়সও শেষ। এমতাবস্থায় কোন দোষ ছাড়া আমাকে চাকরিচ্যুত করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।

সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোঃ নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, স্বামি ২০২১ সালের ১ জুন থেকে রুয়েটের সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছি। ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় কার্ড পাওয়ার পরেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। এখন নিয়োগ বোর্ডে কোন অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতির দায়ভারতো আমার না। অনেক বড় অনিয়ম করে এখানে একাধিক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করছে। অথচ আমরা দোষী না হয়েও শাস্তি পাবো এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে যা যা করার দরকার করবো।

রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংএ আছি এই বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারো না। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়িই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের এই চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রনালয়। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।