ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোমস্তাপুরে শিক্ষককে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় ওহিদুজ্জামান নিপু (৩৮) নামে এক সহকারী শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া ইউনিয়নে কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

ওহিদুজ্জামান নিপু (৩৮) কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মাহবুল আলমের ছেলে।

আহত শিক্ষক ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, সন্ধ্যায় মাদরাসায় নিয়োগ ও আগামী ৬ মার্চ মাদরাসার উন্নতিকল্পে মাহফিল আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ সময় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের শামিউল ইসলাম শ্যামলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আমার স্বামীর। এ সময় কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান নিপু তাফসির মাহফিলে প্রধান অতিথির স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমানের নাম প্রস্তাব করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ফিটু ও তার লোকজন মারধর করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর সেখানে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে, এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ফিটু বলেন, তাকে আমরা প্রথমে মারধর করিনি। সে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকেও মারতে উঠেছেন। আপনি এলাকায় খোঁজ নেন। মূলত মাহফিলের প্রধান ও বিশেষ অতিথি নির্ধারণ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসার সভাপতি শামিউল আলম শ্যামল মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাহফিলে প্রধান অতিথির প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। এমনকি আমার সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। এ ঘটনার স্থানীয় জনতা তাকে মারধর করেছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে, কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোমস্তাপুরে শিক্ষককে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০১:১৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভায় ওহিদুজ্জামান নিপু (৩৮) নামে এক সহকারী শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া ইউনিয়নে কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

ওহিদুজ্জামান নিপু (৩৮) কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মাহবুল আলমের ছেলে।

আহত শিক্ষক ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, সন্ধ্যায় মাদরাসায় নিয়োগ ও আগামী ৬ মার্চ মাদরাসার উন্নতিকল্পে মাহফিল আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এ সময় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের শামিউল ইসলাম শ্যামলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আমার স্বামীর। এ সময় কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান নিপু তাফসির মাহফিলে প্রধান অতিথির স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমানের নাম প্রস্তাব করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ফিটু ও তার লোকজন মারধর করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর সেখানে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে, এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ফিটু বলেন, তাকে আমরা প্রথমে মারধর করিনি। সে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকেও মারতে উঠেছেন। আপনি এলাকায় খোঁজ নেন। মূলত মাহফিলের প্রধান ও বিশেষ অতিথি নির্ধারণ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসার সভাপতি শামিউল আলম শ্যামল মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাহফিলে প্রধান অতিথির প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। এমনকি আমার সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। এ ঘটনার স্থানীয় জনতা তাকে মারধর করেছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে, কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।