ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালপুর পৌর মেয়রের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, যুবকের দুই বছরের কারাদণ্ড

নাটোর প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নাটোরের গোপালপুর পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খুলে অশ্লীল কথাবার্তা ও ছবি ছড়ানোর দায়ে এক যুবককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। একইসঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুইটি ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন তিনি।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম শাহাবুল ইসলাম (৩০)। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার কেশবপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

আর মামলার বাদীর নাম রোকসানা মর্তুজা লিলি। তিনি একই এলাকার গোলাম মর্তুজা বাবুর স্ত্রী। এছাড়া লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন তিনি।

আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, ২০২০ সালের ২৯ জুন লালপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মেয়র বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামি শাহাবুল ওই মহিলার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলেন।

ওই ভুয়া আইডি থেকে ভুক্তভোগীর নামে নিয়মিত অশ্লীল কথাবার্তা ও ছবি ছড়িয়ে দিতে থাকেন আসামি। এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ এনে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই আওয়ামী লীগ নেত্রী।

মামলার প্রেক্ষিতে লালপুর থানা পুলিশ আসামি শাফিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৬(২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও ২৯ (২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে বলেও রায়ে জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোপালপুর পৌর মেয়রের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, যুবকের দুই বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৮:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

নাটোরের গোপালপুর পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খুলে অশ্লীল কথাবার্তা ও ছবি ছড়ানোর দায়ে এক যুবককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। একইসঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুইটি ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন তিনি।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম শাহাবুল ইসলাম (৩০)। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার কেশবপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

আর মামলার বাদীর নাম রোকসানা মর্তুজা লিলি। তিনি একই এলাকার গোলাম মর্তুজা বাবুর স্ত্রী। এছাড়া লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন তিনি।

আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, ২০২০ সালের ২৯ জুন লালপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মেয়র বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামি শাহাবুল ওই মহিলার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলেন।

ওই ভুয়া আইডি থেকে ভুক্তভোগীর নামে নিয়মিত অশ্লীল কথাবার্তা ও ছবি ছড়িয়ে দিতে থাকেন আসামি। এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ এনে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই আওয়ামী লীগ নেত্রী।

মামলার প্রেক্ষিতে লালপুর থানা পুলিশ আসামি শাফিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৬(২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও ২৯ (২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অনাদায়ে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে বলেও রায়ে জানানো হয়।