গুলিতে রিকশাচালক নিহত: ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৫:১০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতার ভাইয়ের গুলিতে রিকশা চালক নিহত হবার ঘটনার প্রধান আসামী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনসহ দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী হলেন- হৃদয় হোসেন ( ২১)। তিনি ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মামলার তিন নম্বর আসামী।
আজ বিকেলে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মামলাটি দায়ের হবার পর র্যাব আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে। দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অপারেশন কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, অপর আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
প্রসঙ্গত,বুধবার রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নসিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জরায়। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের মধ্যে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বেড় করে গুলি চালান। এতে
মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালক নিহত হন। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামে আরও দুইজন আহত হন।
ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের লাশ দাফন হয়েছে। আহদের মধ্যে রকি হোসেনকে আসঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমন হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলাটিতে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন প্রধান আসামী ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামী করা হয়েছে।