ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশের সকল বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

শ‌নিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দমন পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি সেগুনবাগিচা হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে ও রমজানের আগেই সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেটের জন্য সব কিছুর দাম বেড়েছে। সরকার ভারতীয় প্রভুকে খুশি করতে আদানী গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সরকার সংলাপের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে। আগে আপনাদের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করতে হবে, তাহলে আমরা বিবেচনা করব আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় যাব কিনা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবিলম্বে আদানী গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করুন। না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করার পরে এই সরকার দেশের ভেতরে ও বাইরে আন্তর্জাতিক ভাবেও সমালোচিত হয়েছে। জাপানি রাষ্ট্রদূত দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলেছে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এদেশে বার বার আসছে। এতেই বোঝা যায় এই সরকার কতবড় কারচুপি করছে। এই সরকার আবারও বিদেশিদের বলছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। বিদেশিদের যতই বোঝান আপনার অধীনে আমরা আর নির্বাচনে যাব না। আমরা যেমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারি, তেমনি দূর্বার আন্দোলনও সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করছে সরকার।

তি‌নি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতবারের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা। আমি মিথ্যে কথা বলি না, আমরা দেখেছি তারা কি করেছে গত নির্বাচনে। কিন্তু এবার আর মিথ্যুকদের কথা বিশ্বাস করব না, তাই এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আন্দোলন করতে হবে। তার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাব না। তাদের সংলাপের টোপে আমরা পরবো না। আমরা ইতোমধ্যেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি এবং অচিরেই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু সঞ্চালনায় উপস্থিতি ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৩:০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

আগামী ১১ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশের সকল বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

শ‌নিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে দমন পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি সেগুনবাগিচা হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে ও রমজানের আগেই সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেটের জন্য সব কিছুর দাম বেড়েছে। সরকার ভারতীয় প্রভুকে খুশি করতে আদানী গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সরকার সংলাপের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে। আগে আপনাদের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করতে হবে, তাহলে আমরা বিবেচনা করব আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় যাব কিনা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবিলম্বে আদানী গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করুন। না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করার পরে এই সরকার দেশের ভেতরে ও বাইরে আন্তর্জাতিক ভাবেও সমালোচিত হয়েছে। জাপানি রাষ্ট্রদূত দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলেছে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এদেশে বার বার আসছে। এতেই বোঝা যায় এই সরকার কতবড় কারচুপি করছে। এই সরকার আবারও বিদেশিদের বলছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। বিদেশিদের যতই বোঝান আপনার অধীনে আমরা আর নির্বাচনে যাব না। আমরা যেমন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারি, তেমনি দূর্বার আন্দোলনও সৃষ্টি করতে পারি। আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা করছে সরকার।

তি‌নি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতবারের নির্বাচনের আগে বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা। আমি মিথ্যে কথা বলি না, আমরা দেখেছি তারা কি করেছে গত নির্বাচনে। কিন্তু এবার আর মিথ্যুকদের কথা বিশ্বাস করব না, তাই এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আন্দোলন করতে হবে। তার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাব না। তাদের সংলাপের টোপে আমরা পরবো না। আমরা ইতোমধ্যেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি এবং অচিরেই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু সঞ্চালনায় উপস্থিতি ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।