ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের যুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা গণদুশমনের খাতায় নাম লেখাবে: গয়েশ্বর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি। জিয়ার ডাকে আমরা খামোখা যাইনি। আর আজকেও সেই গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে যারা সামিল হবেন না বা বিরোধিতা করবেন, তারা একাত্তরের মতো গণদুশমন অথবা রাজাকারের খাতায় নাম লেখাবেন।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের নিঃশর্ত মুক্তি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্প্দক ডা. রফিকুল ইসলামসহ পেশাজীবী নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দৈনিক দিনকালসহ বন্থ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই পেশাজীবী সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আজকে দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছি। দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে মুক্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতীত তাই বলে। পত্রিকা বন্ধ করা এই সরকারের পার্মানেন্ট রোগ। চিকিৎসকরা এই রোগ থেকে তাদের মুক্তি দিতে পারবে না। জনগণকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এই রোগ থেকে মুক্তির ওষুধ দিতে হবে।

নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি এখন মুখ্য নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করার দাবিই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন এই দেশের জন্য অপরিহার্য। হত্যা, বিচার এবং তদন্ত প্রতিবেদন কখনোই প্রকাশ পাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পতন না হবে।

বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ গোলাম হাসিব, অ্যাবের সদস্য সচিব অধ্যাপক জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ড্যাবের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণতন্ত্রের যুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা গণদুশমনের খাতায় নাম লেখাবে: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৮:৫১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি। জিয়ার ডাকে আমরা খামোখা যাইনি। আর আজকেও সেই গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে যারা সামিল হবেন না বা বিরোধিতা করবেন, তারা একাত্তরের মতো গণদুশমন অথবা রাজাকারের খাতায় নাম লেখাবেন।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের নিঃশর্ত মুক্তি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্প্দক ডা. রফিকুল ইসলামসহ পেশাজীবী নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দৈনিক দিনকালসহ বন্থ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই পেশাজীবী সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আজকে দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছি। দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে মুক্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতীত তাই বলে। পত্রিকা বন্ধ করা এই সরকারের পার্মানেন্ট রোগ। চিকিৎসকরা এই রোগ থেকে তাদের মুক্তি দিতে পারবে না। জনগণকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এই রোগ থেকে মুক্তির ওষুধ দিতে হবে।

নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি এখন মুখ্য নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করার দাবিই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন এই দেশের জন্য অপরিহার্য। হত্যা, বিচার এবং তদন্ত প্রতিবেদন কখনোই প্রকাশ পাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পতন না হবে।

বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ গোলাম হাসিব, অ্যাবের সদস্য সচিব অধ্যাপক জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ড্যাবের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেল প্রমুখ।