ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার না করলে আবারও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘোষণা দেন বিএমএ নেতারা।নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১ মার্চ ভোর ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করেছে চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি দল, বিএমএ নেতারা, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা একাধিক বার বৈঠকে বসলেও কোনো ধরনের সমাধান আসেনি। এর আগে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খুলনার প্রশাসনের পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর শনিবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হবে আশার কথা জানিয়েছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম।

কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শনিবার সকালে খুলনা বিএমএ ভবনে আলোচনার টেবিলে বসেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল, খুলনা বিএমএ, বিপিএমপিএ ও ক্লিনিক মালিক সমিতি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এ ছাড়া তারা অপারেশন থিয়েটারেও ভাঙচুর চালান। এক মাস আগে করা তার মেয়ের অপারেশনে জটিলতার কথা বলে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় ডা. নিশাত বাদী হয়ে এএসআই নাঈমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

তবে যাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক নিশাতের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তারা জানান ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ওই চিকিৎসক শিশুর মাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শিশুর অপচিকিৎসা করেন এবং এতে শিশুটি তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল হারায়।

ওই শিশুর মা (সাতক্ষীরা পুলিশের এএসআই মো. নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী) নুসরত আরা ময়না বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি সন্তানের চিকিৎসায় অবহেলা এবং তার হাতের আঙুলে পচন ধরার অভিযোগ আনেন। এছাড়া তিনিও সোনাডাঙ্গা থানায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার না করলে আবারও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘোষণা দেন বিএমএ নেতারা।নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১ মার্চ ভোর ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করেছে চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি দল, বিএমএ নেতারা, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা একাধিক বার বৈঠকে বসলেও কোনো ধরনের সমাধান আসেনি। এর আগে শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খুলনার প্রশাসনের পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর শনিবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হবে আশার কথা জানিয়েছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম।

কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শনিবার সকালে খুলনা বিএমএ ভবনে আলোচনার টেবিলে বসেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল, খুলনা বিএমএ, বিপিএমপিএ ও ক্লিনিক মালিক সমিতি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাঈম (সাতক্ষীরা সদরে কর্মরত) ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এ ছাড়া তারা অপারেশন থিয়েটারেও ভাঙচুর চালান। এক মাস আগে করা তার মেয়ের অপারেশনে জটিলতার কথা বলে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় ডা. নিশাত বাদী হয়ে এএসআই নাঈমের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

তবে যাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক নিশাতের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তারা জানান ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ওই চিকিৎসক শিশুর মাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শিশুর অপচিকিৎসা করেন এবং এতে শিশুটি তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল হারায়।

ওই শিশুর মা (সাতক্ষীরা পুলিশের এএসআই মো. নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী) নুসরত আরা ময়না বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি সন্তানের চিকিৎসায় অবহেলা এবং তার হাতের আঙুলে পচন ধরার অভিযোগ আনেন। এছাড়া তিনিও সোনাডাঙ্গা থানায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।