ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২৬ জানুয়ারি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মানহানির পৃথক দুই মামলায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া।

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তাঁর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। তাঁর বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খালেদার দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২৬ জানুয়ারি

আপডেট সময় : ০৪:১০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মানহানির পৃথক দুই মামলায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া।

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালনের মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তাঁর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। তাঁর বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।