ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় দুই চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং স্কুলের নিয়োগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দুই চরমপন্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জমির জোয়াদ্দার নামের অপর এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সজিব বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জমির জোয়াদ্দার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার কমিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে, সদর উদ্দিন বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে আনিচুর রহমান একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সুমন আলী মোঃ দিদার আলীর ছেলে।

এহাজার সূত্রে জানা যায়, গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়েগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি গভীর রাতে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা ফিরোজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রফিকুল এবং সজিবকে গ্রেপ্তার করলে তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং এই হত্যার ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত সবার নাম-পরিচয় পুলিশের কাছে প্রকাশ করেন।

পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরে কড়া পুলিশি পাহারায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুষ্টিয়ায় দুই চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৫:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং স্কুলের নিয়োগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দুই চরমপন্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জমির জোয়াদ্দার নামের অপর এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সজিব বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জমির জোয়াদ্দার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার কমিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে, সদর উদ্দিন বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে আনিচুর রহমান একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সুমন আলী মোঃ দিদার আলীর ছেলে।

এহাজার সূত্রে জানা যায়, গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়েগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি গভীর রাতে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা ফিরোজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রফিকুল এবং সজিবকে গ্রেপ্তার করলে তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং এই হত্যার ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত সবার নাম-পরিচয় পুলিশের কাছে প্রকাশ করেন।

পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরে কড়া পুলিশি পাহারায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।