ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনআইডি সার্ভারে কোনো হুমকি চোখে পড়েনি: ডিজি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩ ৬০ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন এনআইডির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তাদের সার্ভারে কোনো হুমকি তারা দেখেননি। তবে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করে, তাদের থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিকদের লাখ লাখ তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের ‍মুখোমুখি হন।

১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয় জানিয়ে এনআইডি ডিজি বলেন, যারা আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস নেয় তাদের কারো কাছ থেকে এটা হতে পারে। যাদের কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে, আমরা তদন্ত করে সেই প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে, তাদের সার্ভিস বন্ধ করে দেব এবং আমরা চুক্তি বাতিল করব।

সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার হ্যাক হতে পারে। এনআইডি সার্ভারে কোনো থ্রেট নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সাইবার ইউনিট কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেউ সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের আগে দেখতে হবে কী ফাঁস হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।

সকালে একটি অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কারণে নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণে সিস্টেমে দুর্বলতা থাকায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতছাড়া হয়েছে।

দায় এড়ানোর সুযোগ নেই জানিয়ে পলক বলেন, আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলা যায়। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না।

গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এ বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে আছে ইন্টারনেটে।

টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আকস্মিকভাবে বাংলাদেশি সাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে এক গবেষক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগও করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এনআইডি সার্ভারে কোনো হুমকি চোখে পড়েনি: ডিজি

আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন এনআইডির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তাদের সার্ভারে কোনো হুমকি তারা দেখেননি। তবে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করে, তাদের থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিকদের লাখ লাখ তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের ‍মুখোমুখি হন।

১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয় জানিয়ে এনআইডি ডিজি বলেন, যারা আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস নেয় তাদের কারো কাছ থেকে এটা হতে পারে। যাদের কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে, আমরা তদন্ত করে সেই প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে, তাদের সার্ভিস বন্ধ করে দেব এবং আমরা চুক্তি বাতিল করব।

সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার হ্যাক হতে পারে। এনআইডি সার্ভারে কোনো থ্রেট নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সাইবার ইউনিট কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেউ সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের আগে দেখতে হবে কী ফাঁস হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।

সকালে একটি অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কারণে নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণে সিস্টেমে দুর্বলতা থাকায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতছাড়া হয়েছে।

দায় এড়ানোর সুযোগ নেই জানিয়ে পলক বলেন, আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলা যায়। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না।

গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এ বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে আছে ইন্টারনেটে।

টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আকস্মিকভাবে বাংলাদেশি সাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে এক গবেষক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগও করেন।