ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১২ দিনে রেমিট্যান্স এল পৌনে ১২ হাজার কোটি টাকা পাকিস্তানে পুলিশ সদর দফতরে জঙ্গি হামলায় ৩ পুলিশ নিহত নির্বাচিত সরকারই একমাত্র জনগণের জন্য কাজ করতে পারে: রিজভী দুর্গাপুরে অসুস্থতা আর আর্থিক অসচ্ছলতায় মা-মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৬৬৯ কৌঁসুলি নিয়োগ, তালিকা প্রকাশ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রস্তাবে ড. ইউনূসের প্রশংসা জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির গোদাগাড়ীতে ড্রাগন বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুঠিয়ায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩ সাগর-রুনি হত্যায় বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকে জড়িত

উচ্চ তাপমাত্রা : আদালতে ড্রেস কোড পরিবর্তন চেয়ে আবেদন

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

উচ্চ তাপমাত্রার প্রেক্ষাপটে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইমেলযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ব্যারিস্টার মো. কাউছার ও আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মকাল প্রধান দেশ। বছরের প্রায় ৮ মাস উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান থাকে। বাংলাদেশে আইনজীবীদের আদালতে পরিধানের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ এবং আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮ তে শীত এবং গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা এবং আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কালের বিবর্তে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

ফলে সারা দেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতি বছরের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত উচ্চমাত্রার গরম আবহাওয়ার কারণে নিদারুণ, অসহনীয়, অবর্ণনীয়, শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে লাখো লাখো বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন। একই সাথে নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের বিচারকগণ একই ধরনের পোশাক পরিধান করায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন।

অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড/ টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর বহু সংখ্যক আইনজীবী হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন এবং অনেক আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তীব্র গরম এবং তাপদাহের কারণে অনেক বয়স্ক আইনজীবী আদালতে যেতে পারেন না। ফলে অনেক আইনজীবী পেশাগত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে করোনা মহামারির সময়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা মোতাবেক ড্রেস কোড পরিবর্তন করা হয়েছিলো এবং তাতে আদালতের বিচারকার্য বা আইনজীবীদের পেশাগত কোনো অসুবিধা হয়নি।

তাই আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, বিচারক এবং বিচার বিভাগের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে আইনজীবীদের প্রচলিত পোশাকের পরিবর্তন আবশ্যক বিধায় বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উচ্চ তাপমাত্রা : আদালতে ড্রেস কোড পরিবর্তন চেয়ে আবেদন

আপডেট সময় : ০৯:০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

উচ্চ তাপমাত্রার প্রেক্ষাপটে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইমেলযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ব্যারিস্টার মো. কাউছার ও আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মূলত একটি গ্রীষ্মকাল প্রধান দেশ। বছরের প্রায় ৮ মাস উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজমান থাকে। বাংলাদেশে আইনজীবীদের আদালতে পরিধানের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রুলস ১৯৭৩ এবং আপিল বিভাগের রুলস ১৯৮৮ তে শীত এবং গ্রীষ্মকালে একই ধরনের পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত আইনজীবীদের পোশাকটি মূলত ব্রিটিশ ভাবধারা এবং আবহাওয়া বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কালের বিবর্তে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কিন্তু আইনজীবীদের কল্যাণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিবেচনায় পোশাকের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

ফলে সারা দেশের হাজার হাজার আইনজীবী প্রতি বছরের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত উচ্চমাত্রার গরম আবহাওয়ার কারণে নিদারুণ, অসহনীয়, অবর্ণনীয়, শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট সহ্য করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে লাখো লাখো বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন। একই সাথে নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের বিচারকগণ একই ধরনের পোশাক পরিধান করায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন।

অতিরিক্ত গরমে নিয়ম অনুযায়ী কালো কোট, গাউন, কলার, ব্যান্ড/ টাই পরিধানের কারণে প্রতিবছর বহু সংখ্যক আইনজীবী হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন এবং অনেক আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তীব্র গরম এবং তাপদাহের কারণে অনেক বয়স্ক আইনজীবী আদালতে যেতে পারেন না। ফলে অনেক আইনজীবী পেশাগত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে করোনা মহামারির সময়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা মোতাবেক ড্রেস কোড পরিবর্তন করা হয়েছিলো এবং তাতে আদালতের বিচারকার্য বা আইনজীবীদের পেশাগত কোনো অসুবিধা হয়নি।

তাই আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, বিচারক এবং বিচার বিভাগের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে আইনজীবীদের প্রচলিত পোশাকের পরিবর্তন আবশ্যক বিধায় বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে আইনজীবী এবং বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস কোড নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়।