ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গেছেন খালেদা জিয়া। এবার আরেকটি আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ জুন) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য দেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ২৫ জুলাই অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিকে মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। এরপর মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি এজাহার দেখে দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এতে আপত্তি জানান। তারা আদালতকে বলেন, তারিখ, সময় ভুলে গেলে এজাহার দেখে বাদী সাক্ষ্য দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তো পুরো এজাহার দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তিনি এটা পারেন না। এটা সাক্ষ্য আইন বিরোধী। আমাদের সময় দিন। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

গত ২৩ মে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।

গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গেছেন খালেদা জিয়া। এবার আরেকটি আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ জুন) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য দেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ২৫ জুলাই অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিকে মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। এরপর মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি এজাহার দেখে দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এতে আপত্তি জানান। তারা আদালতকে বলেন, তারিখ, সময় ভুলে গেলে এজাহার দেখে বাদী সাক্ষ্য দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তো পুরো এজাহার দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তিনি এটা পারেন না। এটা সাক্ষ্য আইন বিরোধী। আমাদের সময় দিন। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

গত ২৩ মে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।

গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।