ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক বছরে অভিবাসন পথে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু পরীক্ষা বর্জন ও ময়মনসিংহে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ সুন্দরবন সুরক্ষায় দূষণ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের আহবান হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে : মিলন আগামী দিনে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: মিনু ‘যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন দেবে না তাদের আর দরকার নেই’ পুঠিয়ায় কুপিয়ে জখম করে ছিনতাই ভুট্টুর বালুমহালের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

ঈদে প্রবাসী আয় এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০১ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র ঈদুল ফিতরে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় অর্থাৎ রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে এই পরিমাণ অর্থ আসে দেশে।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোজার শুরু ও মাঝামাঝি সময়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষের দিকে তা কমে গেছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও রেমিট্যান্স কম আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেমনটা হলে গত মাসের চেয়ে চলতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠিয়েছেন ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পাঠান ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা ২৫১০ কোটি টাকার বেশি। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৪৮২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।

তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। সেই তুলনায় মার্চে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

এছাড়া আগের বছরের (২০২২ সালের) মার্চ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশ‌মিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কো‌টি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঈদে প্রবাসী আয় এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

পবিত্র ঈদুল ফিতরে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় অর্থাৎ রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে এই পরিমাণ অর্থ আসে দেশে।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোজার শুরু ও মাঝামাঝি সময়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষের দিকে তা কমে গেছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও রেমিট্যান্স কম আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেমনটা হলে গত মাসের চেয়ে চলতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠিয়েছেন ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পাঠান ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা ২৫১০ কোটি টাকার বেশি। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৪৮২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।

তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। সেই তুলনায় মার্চে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

এছাড়া আগের বছরের (২০২২ সালের) মার্চ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশ‌মিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কো‌টি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।