ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসির সিদ্ধান্তে আগ্রহ নেই বিএনপির :মির্জা ফখরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩ ৮০ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নাকি বলা হয়েছে আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে না, ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। এই বিষয়গুলোতে আমাদের একটুও আগ্রহ নেই। কারণ আমরা পরিস্কার করে বলেছি, জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের। নির্বাচনকালীন সময়ে কোন ধরনের সরকার থাকবে সেটা হচ্ছে প্রধান সংকট। এই কারণেই আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, স্বাধীনতার মূল যে চেতনা ছিল, সেই চেতনা থেকে দেশ বহু দূরে সরে এসেছে।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়ে যে কথাগুলো বলছি তা হচ্ছে- যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম। যুদ্ধের যে চেতনা আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল সবগুলোকে আজকে ভূলণ্ঠিত করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি অতীতে যেমন শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এখন আবার জনগণের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ কখনোই একনায়কতন্ত্র স্বৈরাচারকে কখনোই মেনে নেয়নি। আজকে বাংলাদেশ মানুষ যেই অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে সংগ্রাম শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি সেই সংগ্রামে সকল রাজনৈতিক দল, গঠন, ব্যক্তি তাদের অধিকার আদায়ের জন্য শরিক হবেন এবং তাদের অধিকার আদায় করবেন।

ফখরুল বলেন, আজকে সারাদেশে একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। শুধু বিএনপির কথা বলছি না, সাধারণ কোনো দলের কথা বলছি না। আজকে সাধারণ মানুষও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ধোঁয়া তুলে জনগণকে বোকা বানিয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। আজকের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে বিদেশি পত্রিকাগুলো একইভাবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

ইফতারের পূর্বে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আরও অংশগ্রহণ করেন— দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নিতাই রায় চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ ও ফখরুল ইমাম, এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ, জেএসডির আ স ম আব্দুর রব, মিসেস তানিয়া রব, ড. রেদোয়ান আহমেদ, গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এসএম শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির আব্দুল গণি, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকিব, এনডিপির ক্বারি আবু তাহের, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের মুহাম্মদ রাশেদ খান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির গরিবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নূরুল ইসলাম, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মন্ডল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইসির সিদ্ধান্তে আগ্রহ নেই বিএনপির :মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নাকি বলা হয়েছে আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে না, ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। এই বিষয়গুলোতে আমাদের একটুও আগ্রহ নেই। কারণ আমরা পরিস্কার করে বলেছি, জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের। নির্বাচনকালীন সময়ে কোন ধরনের সরকার থাকবে সেটা হচ্ছে প্রধান সংকট। এই কারণেই আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, স্বাধীনতার মূল যে চেতনা ছিল, সেই চেতনা থেকে দেশ বহু দূরে সরে এসেছে।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়ে যে কথাগুলো বলছি তা হচ্ছে- যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম। যুদ্ধের যে চেতনা আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল সবগুলোকে আজকে ভূলণ্ঠিত করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি অতীতে যেমন শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এখন আবার জনগণের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ কখনোই একনায়কতন্ত্র স্বৈরাচারকে কখনোই মেনে নেয়নি। আজকে বাংলাদেশ মানুষ যেই অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে সংগ্রাম শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি সেই সংগ্রামে সকল রাজনৈতিক দল, গঠন, ব্যক্তি তাদের অধিকার আদায়ের জন্য শরিক হবেন এবং তাদের অধিকার আদায় করবেন।

ফখরুল বলেন, আজকে সারাদেশে একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। শুধু বিএনপির কথা বলছি না, সাধারণ কোনো দলের কথা বলছি না। আজকে সাধারণ মানুষও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ধোঁয়া তুলে জনগণকে বোকা বানিয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। আজকের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে বিদেশি পত্রিকাগুলো একইভাবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

ইফতারের পূর্বে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আরও অংশগ্রহণ করেন— দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নিতাই রায় চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ ও ফখরুল ইমাম, এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ, জেএসডির আ স ম আব্দুর রব, মিসেস তানিয়া রব, ড. রেদোয়ান আহমেদ, গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এসএম শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির আব্দুল গণি, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকিব, এনডিপির ক্বারি আবু তাহের, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের মুহাম্মদ রাশেদ খান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির গরিবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নূরুল ইসলাম, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মন্ডল প্রমুখ।