ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেছে গ্রামীণফোনের

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

গত এক বছরে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫৫ শতাংশ (৪.৩৬ কোটি) গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যা ২০২১ সালের শেষের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোনের ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন। গত বছর একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ। বছর শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯১ কোটি।

প্রসঙ্গত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১১৩ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর যা দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেছেন, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাহ্যিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন নিজেদের পারফরম্যান্সে উন্নতি বজায় রেখেছে এবং ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বছর শেষ করেছে। নেটওয়ার্কে আমাদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ, নতুন তরঙ্গের ব্যবহার, মোট সাইটের সংখ্যা ২০ হাজারে উন্নীত করার মাইলফলক অর্জন এবং ১৯ দশমিক ৬ হাজার ফোর-জি সাইট নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মতো বিভিন্ন উদ্যোগই মূলত আমাদের বছরপ্রতি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ২৯ জুন টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাদের সিম কার্ড বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গ্রাহক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষে ফোর-জি ডেটা ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বছর শেষে মোট ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪২ কোটিতে। ধারাবাহিক গঠনমূলক আলোচনার ফলশ্রুতিতে পরবর্তী সময়ে এ বছরের ২ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ১০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেছে গ্রামীণফোনের

আপডেট সময় : ০৮:০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

গত এক বছরে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫৫ শতাংশ (৪.৩৬ কোটি) গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যা ২০২১ সালের শেষের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোনের ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন। গত বছর একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ। বছর শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯১ কোটি।

প্রসঙ্গত, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১১৩ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর যা দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেছেন, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাহ্যিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন নিজেদের পারফরম্যান্সে উন্নতি বজায় রেখেছে এবং ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বছর শেষ করেছে। নেটওয়ার্কে আমাদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ, নতুন তরঙ্গের ব্যবহার, মোট সাইটের সংখ্যা ২০ হাজারে উন্নীত করার মাইলফলক অর্জন এবং ১৯ দশমিক ৬ হাজার ফোর-জি সাইট নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মতো বিভিন্ন উদ্যোগই মূলত আমাদের বছরপ্রতি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ২৯ জুন টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাদের সিম কার্ড বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গ্রাহক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষে ফোর-জি ডেটা ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বছর শেষে মোট ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪২ কোটিতে। ধারাবাহিক গঠনমূলক আলোচনার ফলশ্রুতিতে পরবর্তী সময়ে এ বছরের ২ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ১০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।