ইউরোপে বিশ্বকাপ সম্প্রচার বন্ধের হুমকি ফিফার

- আপডেট সময় : ০৫:৪১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
দুই মাস পরেই শুরু হবে ফিফা নারী বিশ্বকাপের নবম আসর। আসন্ন এই আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। কিন্তু দরজায় কড়া নাড়া বিশ্বকাপে ইউরোপের দেশগুলোতে সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে দায়সারা প্রস্তাব দিচ্ছে ফিফাকে। যা নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এমন পরিস্থিতিতে হুমকি দিয়েছেন ইউরোপে নারী বিশ্বকাপ সম্প্রচার বন্ধের।
চলতি বছরের ২০শে জুলাই থেকে ২০শে আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরে লড়বে ৩২ দল। আর এই আসরের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ দেশ- বৃটেন, স্পেন, জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স তুলনামূলক কম অর্থ প্রস্তাব করেছে। এতেই চটেছেন ফিফা সভাপতি। জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এক সভায় জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, মেয়েদের ফুটবলের দরপতনের এই প্রচেষ্টাকে কোনোভাবেই মেনে নেবেন না তারা।
এছাড়া সম্প্রচার স্বত্ব এমন দায়সারা প্রস্তাব নিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই, ফিফা নারী বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো কম মূল্যে বিক্রি না করা আমাদের নৈতিক এবং আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যেই পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রস্তাবগুলো এ রকম অন্যায্য হতে থাকে, তাহলে আমরা ইউরোপের ওই ‘বিগ ফাইভ’ দেশগুলোতে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ সম্প্রচার না করতে বাধ্য হব।’ আরও যোগ করে জানান, মেয়েদের বিশ্বকাপের জন্য সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ লাখ থেকে ১ কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দিচ্ছে। সেখানে ছেলেদের বিশ্বকাপের জন্য ফিফা পেয়ে থাকে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত।
ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো; ছেলে-মেয়েদের বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্বের মূল্যে বিপুল ফারাক মানতে নারাজ। এদিকে সম্প্রচার স্বত্ব এত কম প্রস্তাব করার পেছনে সময়ের পার্থক্যকে একটি বড় কারণ মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউরোপে টিভির ‘প্রাইম টাইমে’ হবে না বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। প্রাইম টাইম হলো-যে সময় সর্বোচ্চ টিভি দর্শক থাকে।
তবে এটি কোনো অজুহাত হতে পারে না বলে মনে করেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। ইনফান্তিনো বলেন, ‘হয়তো ইউরোপে প্রাইম টাইমে খেলাগুলো হচ্ছে না। সকাল ৯টা বা ১০টায় শুরু হবে ম্যাচগুলো। কাজেই এটি উপযুক্ত সময়ই।’
অন্যদিকে ফিফা তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালের নারী বিশ্বকাপে প্রায় ১.১২ বিলিয়ন দর্শক উপস্থিত হয়েছেন সব প্ল্যাটফর্মজুড়ে। কাজেই মেয়েদের বিশ্বকাপে আগ্রহ একেবারেই নেই, সেটিও বলা যাচ্ছে না।