ইউরোপের সাইকেল-বান্ধব শহর
- আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
পরিবেশ-বান্ধব, স্বাস্থ্যকর আর সাশ্রয়ী- সব দিক দিয়েই বাহন হিসেবে এগিয় বাইসাইকেল। সেই চিন্তা মাথায় রেখে নিজেদের এলাকাকে সাইকেল-বান্ধব করেছে ইউরোপের বিভিন্ন শহর। সাইকেল-বান্ধব এমন কয়েকটি শহর সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোপেনগেহেন
ডেনমার্কের রাজধানী শহরে রয়েছে ৩৫০ কিলোমিটারের সাইকেল নেটওয়ার্ক। সাইকেলকে মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাও। সিগন্যাল সাইকেল নিয়ে অপেক্ষার জন্য আছে সুন্দর ব্যবস্থা। কোপেনহেগেনে ৬২ শতাংশ মানুষ সাইকেলে চড়ে কাজে যান। সাইকেল-বান্ধব নগর গড়ার উদাহরণ হিসেবে কোপেনহেগেনাইজ শব্দটি তাই জায়গা করে নিয়েছে ইংরেজি অভিধানে।
আমস্টারডম
সাইকেল-বান্ধব শহরগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে আছে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডম। এখানকার সাইকেল চালকেরা প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন কিলোমিটার পথ চলেন। উটরেস্ট এলাকায় রয়েছে সবচেয়ে বড় সাইকেল পার্কিং, যেখানে সাড়ে ১২ হাজার সাইকেল রাখা যায়। এটিকে ৩৩ হাজারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
আন্টভের্প
বেলজিয়ামের আন্টভের্প শহরের সাইকেল পার্কিং অগণিত আর সেগুলোর অবকাঠামো অভিভূত করে সবাইকে। সাইকেলের পথ বাড়ানোর পাশাপাশি কেবল সাইকেল আর পথচারীদের জন্য তিনটি সেতু তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ।
প্যারিস
কয়েক বছর ধরে সাইকেল নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে প্যারিসের নগর কর্তৃপক্ষ। শহরের নানা জায়গায় রয়েছে বাইসাইকেল স্টেশন। পর্যটেকরাও সাইকেল নিয়ে ঘুরতে পারেন পুরো শহর। অন্যদিকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া নেওয়া সেখানে বেশ জনপ্রিয়।
মালমো
সাইকেলের জন্য অবকাঠামো বাড়াতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে সুইডেনের মালমো শহর। এখানে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সাইকেলের রাস্তা রয়েছে। মালমো আর কোপেনহেগেনের মধ্যে ফেরি পারপার সেখানকার বাইসাইকেল পর্যটনকে বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছে। কোথাও কোথাও হোটেলের সামনেই মিলবে সাইকেল স্টেশন আর ওয়ার্কশপ।
ট্রন্ডহেইম
নরওয়ের শহর ট্রন্ডহেইম। পাহাড়ি এই নগরে চালু আছে ট্রাম্পে নামে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাইসাইকেল উঠানামার ব্যবস্থা। প্রতি ঘণ্টায় সেখানে ৩০০ সাইক্লিস্টকে ১৩০ মিটার উচ্চতায় আনা-নেওয়া করা হয়। পাহাড়ি পথেও সাইকেল নিয়ে চিন্তা নেই, এর চেয়ে স্বস্তির কী হতে পারে!
ম্যুনস্টার
জার্মানির ওয়েস্টফালিয়ার ম্যুনস্টার এলাকায় মানুষের চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি। সাইকেলের চওড়া রাস্তা, পর্যাপ্ত পার্কিং আর সমতল ভূমির কারণে সেখানে এই দ্বিচক্রযান এতো জনপ্রিয়।
বার্সেলোনা
২০০২ সালেও ভাড়ায় বাইসাইকেল পাওয়া যেত স্পেনের বার্সেলোনা শহরে। কেবল সাইকেলের জন্য রয়েছে ১৫৮ কিলোমিটার রাস্তা। অনেক জায়গায় গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার সীমাবদ্ধ রাখায় সাইক্লিস্টদের জন্য এলাকাটি বেশ নিরাপদ। পর্যটকরা যাতে বাইসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াতে পারেন, আছে সেই ব্যবস্থাও।
বাসেল
সুইজারল্যান্ডের বাসেল অনেকটা সমতল এবং দর্শনীয় স্থানগুলোও কাছাকাছি। গ্রীষ্মে স্লো আপ নামে গাড়িমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয় সেটিকে। প্রচুর লোকের সমাগম হওয়ায় তখণ ৩০ কিলোমিটার এলাকা নির্ধারিত রাখা হয় কেবল সাইক্লিস্টদের জন্য। একই সঙ্গে সাইক্লিস্টদের আনন্দ দিতে থাকে বহু আয়োজন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে