ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপিল বিভাগে ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বর আইটেমে ছিল ফখরুল ও আব্বাসের জামিন শুনানি। সকাল ৯টার পরেই জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ৯ টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত শুনানি করা হয় এই দুই নেতার জামিন আবেদন।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এর আগে গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি করে রোববার পর্যন্ত কারাগারে তাদের জামিন নামা দাখিল না করতে নির্দেশ দেন। চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে চেম্বার আদালত বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিষয় কোনো জামিননামা দাখিল করা যাবে না। রোববার এই বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

ওইদিন সকালে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে বিচারিক আদালতে চার দফা জামিন নাকচ হওয়ার পর সোমবার (২ জানুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাদের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন ফখরুলকে গ্রেফতার করা না হলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সেই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।

পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর আরও তিন দফা নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর করা হয় তাদের। পরে তাদের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আপিল বিভাগে ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বর আইটেমে ছিল ফখরুল ও আব্বাসের জামিন শুনানি। সকাল ৯টার পরেই জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ৯ টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত শুনানি করা হয় এই দুই নেতার জামিন আবেদন।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এর আগে গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি করে রোববার পর্যন্ত কারাগারে তাদের জামিন নামা দাখিল না করতে নির্দেশ দেন। চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে চেম্বার আদালত বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিষয় কোনো জামিননামা দাখিল করা যাবে না। রোববার এই বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

ওইদিন সকালে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে বিচারিক আদালতে চার দফা জামিন নাকচ হওয়ার পর সোমবার (২ জানুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাদের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন ফখরুলকে গ্রেফতার করা না হলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সেই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।

পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর আরও তিন দফা নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর করা হয় তাদের। পরে তাদের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়।