ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন বানচালে সরকারের নানা ‘গল্পে’ মাথা ঘামাচ্ছি না: ফখরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে বলে সতর্ক করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় হচ্ছে একটাই, সেটা হচ্ছে জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করে, আরও সম্পৃক্ত করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সারানো। এর বাইরে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এবং সরকারের এজেন্টরা স্বাভাবিকভাবে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়েছে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে, তাকে দমন করার জন্য, নস্যাৎ করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে। সে জন্য তারা মিডিয়াতে বলুন, গল্প করে বলুন- তারা বিভিন্ন রকমের গল্প তৈরি করবে। এ জন্য আমরা এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এ সরকারের পতনের লক্ষ্যে আমরা যে গণআন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক মঞ্চ এবং আমরা আমাদের পূর্বের কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। এছাড়া পরবর্তীতে কি কর্মসূচি গ্রহণ হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের সঙ্গেও অতি দ্রুত বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি যে কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচিকে সফল করা এবং পরবর্তীকালে কি কর্মসূচি গ্রহণ করব সেগুলোর সিদ্ধান্ত নেব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনের মধ্যে এখন পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার জন্য, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এছাড়া যারা বন্দি রয়েছেন, তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভবিষ্যতে জনগণকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি- এই আন্দোলনে সবাই যেন শরিক হন এবং সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রকে মুক্তি করার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরও বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা যেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।

এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তির যে কর্মসূচি, তা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কাজ করছি। আমরা চারটি কর্মসূচি পালন করেছি। কর্মসূচিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ধীরে ধীরে এই কর্মসূচি বিজয়ে নিয়ে যেতে চাই। কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এ ব্যাপারে আমরা নীতিগত এবং কৌশলগত বিষয়ে আলোচনা করেছি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঐক্যকে আরও দৃঢ় করা। এই ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবার জন্য, বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য স্বাভাবিকভাবে শত্রুপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং ঢাকা মহানগর মধ্যে কীভাবে তৎপরতা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আমরা এটাকে সমর্থন জানিয়েছি। এটার মধ্যদিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবে সে পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, যাতে একটি অভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারি। ৪ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির পরে পরবর্তীতে ধাপে যেন আমরা যেতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আ স ম রবসহ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, নরুল হক নুর, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলন বানচালে সরকারের নানা ‘গল্পে’ মাথা ঘামাচ্ছি না: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে বলে সতর্ক করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাদের মাথা ঘামানোর বিষয় হচ্ছে একটাই, সেটা হচ্ছে জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করে, আরও সম্পৃক্ত করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সারানো। এর বাইরে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এবং সরকারের এজেন্টরা স্বাভাবিকভাবে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়েছে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে, তাকে দমন করার জন্য, নস্যাৎ করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করবে। সে জন্য তারা মিডিয়াতে বলুন, গল্প করে বলুন- তারা বিভিন্ন রকমের গল্প তৈরি করবে। এ জন্য আমরা এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এ সরকারের পতনের লক্ষ্যে আমরা যে গণআন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক মঞ্চ এবং আমরা আমাদের পূর্বের কর্মসূচি পর্যালোচনা করেছি। এছাড়া পরবর্তীতে কি কর্মসূচি গ্রহণ হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের সঙ্গেও অতি দ্রুত বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি যে কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচিকে সফল করা এবং পরবর্তীকালে কি কর্মসূচি গ্রহণ করব সেগুলোর সিদ্ধান্ত নেব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনের মধ্যে এখন পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার জন্য, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এছাড়া যারা বন্দি রয়েছেন, তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভবিষ্যতে জনগণকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি- এই আন্দোলনে সবাই যেন শরিক হন এবং সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রকে মুক্তি করার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরও বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা যেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।

এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তির যে কর্মসূচি, তা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কাজ করছি। আমরা চারটি কর্মসূচি পালন করেছি। কর্মসূচিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ধীরে ধীরে এই কর্মসূচি বিজয়ে নিয়ে যেতে চাই। কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এ ব্যাপারে আমরা নীতিগত এবং কৌশলগত বিষয়ে আলোচনা করেছি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঐক্যকে আরও দৃঢ় করা। এই ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবার জন্য, বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য স্বাভাবিকভাবে শত্রুপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং ঢাকা মহানগর মধ্যে কীভাবে তৎপরতা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আমরা এটাকে সমর্থন জানিয়েছি। এটার মধ্যদিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবে সে পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, যাতে একটি অভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারি। ৪ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির পরে পরবর্তীতে ধাপে যেন আমরা যেতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আ স ম রবসহ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, নরুল হক নুর, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।