ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনেই পতন হবে সরকারের: ফখরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারকে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান তৈরি হবে। সরকারকে পরাজিত করে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে যুবদলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের টাকা লুট ও পাচার করতে একের পর মেগা প্রকল্প করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। মানুষ চাল কিনতে পারেন না। ওএমএস বন্ধ করেছে। এখন কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করতে চায়। এরমাধ্যমে যাতে নতুনভাবে দুর্নীতি করতে পারে। আসলে এরা দুর্নীতিবাজ সরকার। তারা আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যে চুক্তি করেছে তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো আদানিকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। সুতরাং এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের একটি পথ। সেটি হলো আন্দোলন।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। গণবিরোধী সরকারকে হটাতে যুগপৎ আন্দোলনে যুবদল আরও কঠোর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের জবাবদিহিতার জন্য কোনো পার্লামেন্ট নেই। সরকার আজকে নয়, তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তি ভোগ করার জন্য একের পর এক বিভিন্ন রকমের অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্টে টাকা ব্যয় করে অর্থ লুট করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্যকিছু।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, নূরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, জাকির হোসেন নান্নু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান মিশু, রুহুল ইসলাম মনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন, আলমগীর হাসান সোহান সহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ফখরুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলনেই পতন হবে সরকারের: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারকে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান তৈরি হবে। সরকারকে পরাজিত করে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে যুবদলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের টাকা লুট ও পাচার করতে একের পর মেগা প্রকল্প করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। মানুষ চাল কিনতে পারেন না। ওএমএস বন্ধ করেছে। এখন কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করতে চায়। এরমাধ্যমে যাতে নতুনভাবে দুর্নীতি করতে পারে। আসলে এরা দুর্নীতিবাজ সরকার। তারা আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যে চুক্তি করেছে তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো আদানিকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। সুতরাং এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের একটি পথ। সেটি হলো আন্দোলন।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। গণবিরোধী সরকারকে হটাতে যুগপৎ আন্দোলনে যুবদল আরও কঠোর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের জবাবদিহিতার জন্য কোনো পার্লামেন্ট নেই। সরকার আজকে নয়, তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তি ভোগ করার জন্য একের পর এক বিভিন্ন রকমের অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্টে টাকা ব্যয় করে অর্থ লুট করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্যকিছু।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, নূরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, জাকির হোসেন নান্নু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান মিশু, রুহুল ইসলাম মনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন, আলমগীর হাসান সোহান সহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ফখরুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।