ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক বহু কোম্পানি কর দেয় না : সিপিডি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, যাদের উপস্থিতি থাকলেও করের দৃষ্টিকোণ থেকে অংশগ্রহণ নেই বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে। সেমিনারে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও ‍দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনোমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনোমি হবে। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ সময় সামনে চলে এসেছে। আমি বলব অনেক আগেই আসছে।

আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আগে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে। ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

এনবিআর সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সাথে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক বহু কোম্পানি কর দেয় না : সিপিডি

আপডেট সময় : ১০:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, যাদের উপস্থিতি থাকলেও করের দৃষ্টিকোণ থেকে অংশগ্রহণ নেই বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে। সেমিনারে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও ‍দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনোমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনোমি হবে। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ সময় সামনে চলে এসেছে। আমি বলব অনেক আগেই আসছে।

আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আগে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে। ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

এনবিআর সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সাথে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।