ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটকে গেছে পাথরবোঝাই জাহাজ, ময়া-সুলতানগঞ্জ নৌপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতের ময়া থেকে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আসার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে ১৮৩ টন পাথরবোঝাই একটি জাহাজ আটকে পড়েছে। এতে করে ৯ দিন থেকে ভারতের ময়া-সুলতানগঞ্জের নৌপথের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটি-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাথরবোঝাই ‘এমভি আতিয়া’ জাহাজটি রওনা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকা পড়ে। এতে করে এ নৌপথ দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।
মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই পাথর আমদানির এলসি খুলেন মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী।
আমদানিকারক মনিরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য পানির গভীরতা কমপক্ষে সাত ফুট হতে হয়। কিন্তু হাকিমপুর চর এলাকায় পানির গভীরতা আছে সাড়ে চার ফুটের মতো। এ কারণে পাথরবাহী জাহাজটি আটকে যায়। ওই জাহাজের পাথর বিকল্প উপায়ে আনতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উপ-কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন বলেন, পণ্যবাহী জাহাজ লোড-আনলোডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। তাদের আবেদনের পর রাজশাহীর কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয় থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিআইডব্লিউটি-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই নৌপথের একটি অংশে সামান্য নাব্যতা সংকট রয়েছে। পানির গভীরতা সাড়ে পাঁচ ফুটের বেশি লাগে- এমন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। আমদানিকারক সম্ভবত সেই নির্দেশনা মানেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।
তিনি আরও জানান, এ নৌপথে জাহাজ চলাচল এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। আপাতত তিনটি জাহাজ চলাচল করে। এর মধ্যে একটি আটকা পড়েছে। বাকি দু’টির মধ্যে একটি ময়ায় এবং আরেকটি আছে সুলতানগঞ্জে। আটকে পড়া জাহাজটি ঘাটে ফিরলে ফের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আটকে গেছে পাথরবোঝাই জাহাজ, ময়া-সুলতানগঞ্জ নৌপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ

আপডেট সময় : ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারতের ময়া থেকে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আসার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে ১৮৩ টন পাথরবোঝাই একটি জাহাজ আটকে পড়েছে। এতে করে ৯ দিন থেকে ভারতের ময়া-সুলতানগঞ্জের নৌপথের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটি-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাথরবোঝাই ‘এমভি আতিয়া’ জাহাজটি রওনা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকা পড়ে। এতে করে এ নৌপথ দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।
মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই পাথর আমদানির এলসি খুলেন মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী।
আমদানিকারক মনিরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য পানির গভীরতা কমপক্ষে সাত ফুট হতে হয়। কিন্তু হাকিমপুর চর এলাকায় পানির গভীরতা আছে সাড়ে চার ফুটের মতো। এ কারণে পাথরবাহী জাহাজটি আটকে যায়। ওই জাহাজের পাথর বিকল্প উপায়ে আনতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উপ-কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন বলেন, পণ্যবাহী জাহাজ লোড-আনলোডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। তাদের আবেদনের পর রাজশাহীর কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয় থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিআইডব্লিউটি-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই নৌপথের একটি অংশে সামান্য নাব্যতা সংকট রয়েছে। পানির গভীরতা সাড়ে পাঁচ ফুটের বেশি লাগে- এমন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। আমদানিকারক সম্ভবত সেই নির্দেশনা মানেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।
তিনি আরও জানান, এ নৌপথে জাহাজ চলাচল এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। আপাতত তিনটি জাহাজ চলাচল করে। এর মধ্যে একটি আটকা পড়েছে। বাকি দু’টির মধ্যে একটি ময়ায় এবং আরেকটি আছে সুলতানগঞ্জে। আটকে পড়া জাহাজটি ঘাটে ফিরলে ফের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হবে।