ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋণের টাকা না পেয়ে নারীকে রাতে তালাবদ্ধ করে রাখল পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লিগ : খালেদের ৪ উইকেটে জয়ে শুরু রংপুরের ২১ জেলায় পানির নিচে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল টানা বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে, মরিচের কেজি প্রায় ৩০০ টাকা

অস্থির সবজির বাজার, স্বস্তি ডিম-মুরগির দামে

দেশের আওয়াজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে আবারও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। একদিকে বর্ষাকালীন সরবরাহ ঘাটতি, অন্যদিকে পরিবহন সংকটের অজুহাতে বেড়েই চলছে সবজির দাম। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে— ২০ থেকে ৩০ টাকা।

তবে আশার কথা হলো—ডিম ও মুরগির দামে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর।

শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বেগুন ৮০–৯০ টাকা, শসা ৭০–৮০ টাকা, পটল ৬০–৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে অনেক বাজারে।

ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে, অথচ আয় বাড়ছে না। সবজি কিনতেই এখন হাজার টাকা চলে যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মাঠ থেকে সবজি তুলতে সমস্যা হচ্ছে। আবার পরিবহন সংকট ও সময় খরচ বেড়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজার থেকেই দাম বেশি।

যাত্রাবাড়ীর সবজি বিক্রেতা জসিম মালি ঢাকা মেইলকে বলেন, দাম তো বেড়েছে দোখতেই পাচ্ছেন। তবে এখন অনেক সবজির মৌসুম প্রায় শেষ। এজন্য দাম কিছুটা বাড়তি। নতুন সবজি উঠার আগ পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি থাকবে।

এদিকে, কোরবানির ঈদের পর থেকেই ডিম মুরগীর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি ডজন ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কোরবানির আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল।

এছাড়া, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০–১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কম। এছাড়া সোনালি মুরগীর দাম কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, খামারে উৎপাদন বাড়ায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাছ-মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আগের মতো দাম-দর চাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতাদেরও অভিযোগ অনুযোগ দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মুদি পণ্যগুলো দাম তেমন হেরফের হয়নি। তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি আগের দামে কেনা যাচ্ছে। কম দামে কেনা যাচ্ছে পেঁয়াজ, আলু, আদা, রসুনসহ অন্য নিত্যপণ্যও।

ক্রেতাদের অভিযোগ—নিয়মিত বাজার তদারকি না থাকায় দামের ওঠানামা বাড়ছে। তারা সরকারের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বাজারে মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অস্থির সবজির বাজার, স্বস্তি ডিম-মুরগির দামে

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে আবারও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। একদিকে বর্ষাকালীন সরবরাহ ঘাটতি, অন্যদিকে পরিবহন সংকটের অজুহাতে বেড়েই চলছে সবজির দাম। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে— ২০ থেকে ৩০ টাকা।

তবে আশার কথা হলো—ডিম ও মুরগির দামে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর।

শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বেগুন ৮০–৯০ টাকা, শসা ৭০–৮০ টাকা, পটল ৬০–৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে অনেক বাজারে।

ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে, অথচ আয় বাড়ছে না। সবজি কিনতেই এখন হাজার টাকা চলে যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মাঠ থেকে সবজি তুলতে সমস্যা হচ্ছে। আবার পরিবহন সংকট ও সময় খরচ বেড়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজার থেকেই দাম বেশি।

যাত্রাবাড়ীর সবজি বিক্রেতা জসিম মালি ঢাকা মেইলকে বলেন, দাম তো বেড়েছে দোখতেই পাচ্ছেন। তবে এখন অনেক সবজির মৌসুম প্রায় শেষ। এজন্য দাম কিছুটা বাড়তি। নতুন সবজি উঠার আগ পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি থাকবে।

এদিকে, কোরবানির ঈদের পর থেকেই ডিম মুরগীর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি ডজন ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কোরবানির আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল।

এছাড়া, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০–১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কম। এছাড়া সোনালি মুরগীর দাম কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, খামারে উৎপাদন বাড়ায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাছ-মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। আগের মতো দাম-দর চাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতাদেরও অভিযোগ অনুযোগ দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মুদি পণ্যগুলো দাম তেমন হেরফের হয়নি। তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি আগের দামে কেনা যাচ্ছে। কম দামে কেনা যাচ্ছে পেঁয়াজ, আলু, আদা, রসুনসহ অন্য নিত্যপণ্যও।

ক্রেতাদের অভিযোগ—নিয়মিত বাজার তদারকি না থাকায় দামের ওঠানামা বাড়ছে। তারা সরকারের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বাজারে মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।