ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবসরের পর যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আজ (সোমবার) অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নতুন রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আজ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতির শপথ নিচ্ছেন। এর ফলে বঙ্গভবনের বর্তমান বাসিন্দা আবদুল হামিদের বিদায়ের সুর বেজে গেছে।

দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী অবসরভাতা, চিকিৎসার সুবিধাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ।

‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইনে’ সাবেক রাষ্ট্রপতিরা কী কী সুযোগ-সুবিধা, কীভাবে পাবেন তা নির্ধারণ করা আছে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বশেষ যে মাসিক বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ হারে আমৃত্যু মাসিক অবসর ভাতা পাবেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা গ্রহণ করে মারা গেলে তার বিধবা স্ত্রী অথবা ক্ষেত্র অনুযায়ী বিপত্নীক স্বামী আমৃত্যু তার প্রাপ্য অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে মাসিক ভাতা পাবেন। অবসর ভাতা পাওয়ার যোগ্য একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতার পরিবর্তে আনুতোষিকও (এককালীন অর্থ) নিতে পারেন।

‘দ্য প্রেসিডেন্টস (রেম্যুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

অবসরে যাওয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন ব্যক্তিগত সহকারী এবং একজন অ্যাটেনডেন্ট (সাহায্যকারী) পাবেন আবদুল হামিদ। একজন মন্ত্রীর প্রাপ্য চিকিৎসাসুবিধার সমপরিমাণ চিকিৎসাসুবিধা পাবেন।

আবাসস্থলে একটি টেলিফোন সংযোগ, সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দেশের ভেতর ভ্রমণকালে সরকারি সার্কিট হাউস বা রেস্টহাউসে বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ। তিনি দাপ্তরিক ব্যয়ও পাবেন, এর পরিমাণ সরকার নির্ধারণ করে দেবে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে সাতবার জাতীয় সংসদে কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। পালন করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অবসরের পর যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ

আপডেট সময় : ১০:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আজ (সোমবার) অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নতুন রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আজ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতির শপথ নিচ্ছেন। এর ফলে বঙ্গভবনের বর্তমান বাসিন্দা আবদুল হামিদের বিদায়ের সুর বেজে গেছে।

দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী অবসরভাতা, চিকিৎসার সুবিধাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ।

‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইনে’ সাবেক রাষ্ট্রপতিরা কী কী সুযোগ-সুবিধা, কীভাবে পাবেন তা নির্ধারণ করা আছে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বশেষ যে মাসিক বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ হারে আমৃত্যু মাসিক অবসর ভাতা পাবেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা গ্রহণ করে মারা গেলে তার বিধবা স্ত্রী অথবা ক্ষেত্র অনুযায়ী বিপত্নীক স্বামী আমৃত্যু তার প্রাপ্য অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে মাসিক ভাতা পাবেন। অবসর ভাতা পাওয়ার যোগ্য একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতার পরিবর্তে আনুতোষিকও (এককালীন অর্থ) নিতে পারেন।

‘দ্য প্রেসিডেন্টস (রেম্যুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

অবসরে যাওয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন ব্যক্তিগত সহকারী এবং একজন অ্যাটেনডেন্ট (সাহায্যকারী) পাবেন আবদুল হামিদ। একজন মন্ত্রীর প্রাপ্য চিকিৎসাসুবিধার সমপরিমাণ চিকিৎসাসুবিধা পাবেন।

আবাসস্থলে একটি টেলিফোন সংযোগ, সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দেশের ভেতর ভ্রমণকালে সরকারি সার্কিট হাউস বা রেস্টহাউসে বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পাবেন আবদুল হামিদ। তিনি দাপ্তরিক ব্যয়ও পাবেন, এর পরিমাণ সরকার নির্ধারণ করে দেবে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে সাতবার জাতীয় সংসদে কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। পালন করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।