• মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

বিপদসীমার কাছে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারও বিপদ সীমার কাছ দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলার ৫ উপজেলার নদী পাড়ে বাসিন্দারা আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

এর আগে সকাল ৬ টার তিস্তা ব্যারাজপয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর ১২ টার পর বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, সকাল ৯টায় তিস্তা পানি বিপদ সীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। নদী পারের মানুষ বন্যা আশঙ্কা করছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর,খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ,কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকায় আবারও ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।

গড্ডিমারি ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন,সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হলে অত্র এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন,অত্র ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত। তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে অত্র এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ