• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

তানোরে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার বাঁধ টিকলোনা ১ মাসও

আশরাফুল আলম , তানোর থেকে ঃ / ১৪৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

রাজশাহীর তানোর উপজেলার শিবনদের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। যা স্থানীয়ভাবে বিলকুমারী সেতু নামে পরিচিত। সেতুটি তানোর ও মোহনপুর উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। এ পথ দিয়ে বহু মানুষ ও যানবাহনের চলাচল।

সেতু রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৩ কোটি এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণে ২২ লাখ টাকার প্রকল্প নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। চলতি বছরের ৩০ জুন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শেষের এক মাস না যেতেই ধসে পড়েছে সেতু রক্ষাবাঁধের ব্লক। সংযোগ সড়কও ধসে গেছে।

৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার বাঁধ ও সড়ক টিকল না এক মাসও। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষ। সেতুটিও পড়েছে ঝুঁকিতে। স্থানীয় বাসিন্দা মাহাবুর রহমান বলেন, তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ থেকে শুরু সেতুর সংযোগ সড়ক।

৩০ জুন সড়কটিতে ইট বিছানো (এইচবিবি) হয়। সোমবার বৃষ্টিতে সেতুর পশ্চিম দিকের পুরো সড়কে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনে সেতু রক্ষাবাঁধ ধসে গেছে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পথচারী ওবায়দুর রহমান, আতিক, শামীম বলেন, কিছুদিন আগে ব্লক ও বালু দিয়ে ভরাট করে এইচবিবি করা হলো। অথচ সেতুর পূর্ব দিকের সংযোগ সড়কের উত্তর পাশে একাধিক বিশাল আকারের ফাটল ধরেছে এবং ব্লক সরে যাচ্ছে।

তানোর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারের জামানত আছে। এ ছাড়া কাজটি এখনো চলমান। তাকে ঠিক করে দিতে হবে। ৩০ জুন কাজ শেষ হয়েছে বলা হলে, তিনি বলেন, ‘সময়, বিল নিয়ে এত প্রশ্ন করার কী আছে। ’

ঠিকাদার আবদুর রশিদ বলেন, ‘সেতুর পূর্ব দিকের সড়কে ব্লকের জন্য সাড়ে ৩ কোটি ও ২৫০ ফুট রাস্তার জন্য ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব আগের বরাদ্দ। এখন সবকিছুর দাম দ্বিগুণ।

কাজই করতাম না, শুধু জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীর অনুরোধে করেছি। ’ স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘এত টাকা খরচ করে নির্মাণ করা বাঁধ ও সড়ক এক মাসও না টেকা দুঃখজনক। ’

এর আগে তানোরে এলজিইডির নিম্নমানের সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলীকে কাজের মান ভালো করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

তারপরও এমন নিম্নমানের কাজ করেছেন ঠিকাদার। এমপি বলেন, ‘তানোরে কাজ করলে কাউকে চাঁদা দিতে হয় না। নিম্নমানের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। ’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ