সুইডেনে এক মুলিম যুবক অভিনব কায়দায় কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন স্থানীয় প্রশাসনের নিকট থেকে। কিন্তু, তিনি ওই পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো না পুড়িয়ে বলেন, তার নিরব প্রতিবাদের লক্ষ্য হচ্ছে যারা কোরআনের মতো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়েছে তাদের নিন্দা করা।
শনিবার আহমাদ আলুশ নামের ওই যুবক বলেন, তিনি তাওরাত ও বাইবেল পুড়িয়ে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন না। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আলুশ আরও বলেন, আমি কখনই কোনো ধর্মগ্রন্থ পোড়াবো না। ইসলাম আমাকে এ শিক্ষা দেয় না। আর সত্যি বলতে, তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। আমি শুধু আমার ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদস্বরূপ এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।
এর আগে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদেই শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানো হবে। বিষয়টিকে আবেদনকারী তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দাবি করেন।
শুক্রবার, তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ইসরায়েলসহ বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছিল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু টুইটারে লেখেন, ইহুদি জনগণের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননার অনুমতি দেওয়ার এ সিদ্ধন্তকে অত্যন্ত গুরুতরভাবে নিয়েছে ইসরায়েল।
কর্মসূচিটির অনুমতি দেওয়ায় ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এক বিবৃতিতে বলেন, আমি পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এখন ইহুদিদের চিরন্তন গ্রন্থের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। আমি নিঃসংকোচে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর এমন অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানাই।
সূত্র : দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল