শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেলায়েত হোসেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বেলায়েত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সকাল সকালে বাজারে এসে নিত্যপণ্যের চড়া দাম দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ তিনি।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে বেলায়েত বলেন, জিনিসপত্রের দাম দেখেন! প্রতিদিন কোনো না কোনো জিনিসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের আয় কয় টাকা বাড়ছে? বাজারে ঢুকলে টেনসনে প্রেসার বেড়ে যায়।
নিত্যপণ্যের দামে বেলায়েতের মতো দুশ্চিন্তা বেড়েছে আরও অনেক ক্রেতার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের এই বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে যে দোকানিরা নগর ছেড়েছিলেন, তারা ফিরেছেন। বাজারে স্বাভাবিক হয়েছে সকল পণ্য। তবে অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে দাম।
সবজির বাজার
ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। ঈদের আগের দিনও ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানের পর একদিনের জন্য সে দাম করেছিল। মরিচের দাম নেমে এসেছিল ৩০০ টাকায়। এখন আবার সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আদার কেজি ৩৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।
বাজারে প্রতি কেজি ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
লাউ ৬০ টাকা পিস, কচুর মুখী ৮০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা।
মাছের বাজার
পোয়া ৪০০ টাকা কেজি, তুলার ডানডি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি গুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ২৬০ টাকা কেজি, ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। ট্যাংরা মাছ ৫০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ টাকা। পাঙ্গাসের কেজি ১৮০ টাকা। বাতাসি মাছের কেজি ২৮০ টাকা।
মাংসের বাজার
বাজারে গরুর মাংস ৮০০ টাকা, ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে এগারোশো টাকা কেজি দরে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। সুত্রঃ ঢাকা মেইল