• শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ অপরাহ্ন

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে লিগ্যাল নোটিশ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কটূক্তিমূলক অপরাধের সর্বোচ্চ সাজার (মৃত্যুদণ্ড/যাবজ্জীবন) বিধান প্রণয়ন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা মুহাম্মদ আরিফুর রহমানের রহমানের পক্ষে এটি পাঠান আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, আমি সব ধর্মের অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি। যথাসময়ে নোটিশের জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিব।

এতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে শব্দ উচ্চারণ বা এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান আছে। এ আইনের সুবিধা সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিতে পারবে। আর যেকোনো ধর্মের অবমাননাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো বিশেষ ধর্মের জন্য বা একক কোনো ধর্মকে সুরক্ষা দিতে এ আইন নয়। এর বাইরেও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ আইনে অপরাধ প্রমাণ হলে ৫ বছর কারাদণ্ড সঙ্গে অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। এছাড়া একাধিকবার একই অপরাধ সংগঠিত করলে সাজার পরিমাণ এ সাজার দ্বিগুণ। যা অপরাধের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য ও অপ্রতুল বিধায় কেউ কেউ মহানবীসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ইতঃপূর্বে নানা ধরনের মন্তব্য ও কটূক্তি করেছে এবং করে আসছে। যদিও তা কোরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও সংবিধান বিরোধী।

মুসলিম শরীয়া আইনে এ ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য কঠিন সাজার বিধান রয়েছে। পাশাপাশি সংবিধান লঙ্ঘন করলেও তা সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। যার শাস্তি ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবনসহ অর্থদণ্ড। সুতরাং উল্লিখিত অপরাধের জন্য প্রচলিত আইনে যে সাজার বিধান রয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সার্বিক বিবেচনায় প্রচলিত আইন সংশোধন ক্রমে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক।

এই আইনজীবী বলেন, নোটিশ পাওয়ার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রচলিত আইন সংশোধনক্রমে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ রাসুল (সা:) কটূক্তির সাজা সর্বোচ্চ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিবাদীদের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ