• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক দোকান ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ

মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল, গোদাগাড়ী ( রাজশাহী ): / ৫৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাউটিয়া নারায়ণপুরে জোরপূর্বক রাস্তা নেওয়ার দাবিতে দোকান ঘর ভাঙচুর ও হামলা প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওমর আলী মাষ্টার।
ওমর আলী মাষ্টার বাউটিয়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।
ওমর আলী মাষ্টার বলেন, আমার স্ত্রী মোনা সুরাইয়া বেগম(৫৫) প্রায় ৪৬ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করিয়া দোকান ঘর (মার্কেট) নির্মাণ করিয়া অদ্যবধি শান্তিপূর্ণ ভাবে দখল ভোগ করিয়া আসিতেছিলাম। চাপাইনবাবগঞ্জের বানকুইপুর এলাকার মৃত এসতুল মণ্ডলের ছেলে বিবাদী মোঃ আবু সাঈদ(৫৫) তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে প্রায় সময় আমার সম্পত্তির অবস্থিত দোকান ঘর (মার্কেট) ভাঙ্গিয়া জমি দখল করার জন্য আমাকে নানা রকম ভাবে অত্যাচার করিয়া আসিতেছে ।
এ বিষয়ে গ্রাম্য সমাজের লোকজনসহ মেম্বার কয়েক দফা বসেছে কিন্তু সমাধান করতে পারেনি। থানাতেও দুইবার বসা হয়েছে।
এরই সূত্রে ধরে বিবাদী ও তার ভাড়াটিয়া প্রায় ৭০/৮০ লোকজনসহ দেশী অস্ত্র-সন্ত, লাঠি-সোটা লোহার রড, লোহার শাবল, হাতুড়ি/হেমার বড় বড় টিপ চাকু ধারালো অস্ত্র দ্বারা আমার দোকান ঘর (মার্কেট) এর পশ্চিম পাশের ওয়াল, ছাদ এবং দোকান ঘরের শার্টার ভাঙ্গচুর করে।
আমি তাদেরকে বাধা-নিষেধ করিলে আমাকে বিবাদী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন ধরে জোর জবস্থি করে টানা-হাচড়া ও ধাক্কা ধাক্কি করে এবং আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিবাদী আমাকে বলে আমি যদি বেশি বাড়-বাড়ি করি তাহলে আমার প্রাণ নাশ করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিবাদী আমার উপর যে কোন মুহুর্তে আক্রমন করিতে পারে এমনকি যে কোন অঘটন ঘটাইতে পারে। আমি নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি ।
এ সময় পরিস্থিতি খারাপ দেখে নিরাপত্তার জন্য জান মাল বাঁচার তাগিদে আমি আনুমান তিনটা পনেরো মিনিটের দিকে
৯৯৯ এ ফোন করি। ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পরে প্রশাসন যোগাযোগ করে বলে ওরা তো চলে গেছে আর এখন এসে কি করব ।
কোন সহযোগিতা না পেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় যেয়ে ১৯ জুন রাতে আনুমানিক ৭টা ৩০মিনিটের দিকে আমি নিরুপাই হইয়া আইনের আশ্রয় নিতে অভিযোগ দায়ের করি ।
এ বিষয়ে বিবাদী আবু সাঈদের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা , স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জেনে দেখেন তার সঙ্গে কতবার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। এস আই আলতাফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ