জমি বিক্রির ৪ লক্ষ টাকা হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম।অবশেষে গেলেন কোতোয়ালি মডেল থানায়। থানার পুলিশের তৎপরতায় মাত্র ৩ঘন্টার মাঝেই ফিরে পেলেন হারিয়ে যাওয়া সম্ভল তার জমি বিক্রির টাকা। এবার তিনি বেজায় খুশী। পুলিশের কাজে প্রশংসা না করে পারলেন না।এভাবেই একের পর এক অসম্ভব ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে ময়মনসিংহবাসীর কাছে মানবিকতা আর প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বাধীন কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
আর হারিয়ে যাওয়া টাকার উদ্ধার করা ব্যাগ মালিককে বুঝিয়ে দিলেন কোতোয়ালী মডেল থানা ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ পিপিএম বার।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, সাধারণ ডায়রির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ত্রিদীপ ও এএসআই মো: ফরহাদ হোসেন তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ঘটনাস্থলের আশপাশে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় একজন অটোচালককে ব্যাগটি নিতে দেখা যায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজের প্রদর্শিত অটোরিক্সা চালককে শনাক্ত করে চালকের হেফাজত হতে হারিয়ে যাওয়া ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ৪লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীকে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।মানবিক বিবেচনায় দায়িত্ব নিয়ে টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি।
অটোরিক্সা চালক মোঃ শহিদ মিয়া হারিয়ে যাওয়া টাকা পাওয়ার পর ফেরত প্রদানের জন্যে মালিককে খুজঁছেন মর্মে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান। সে মানবিক একজন রিস্কা চালক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, টাকা ফেরত পেয়ে তিনি অনেক খুশি। এ ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো জন্য পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ৬ জুন মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫০),বিকাল অনুমান ৩টা সময় নগদ ৪ লক্ষ টাকা ১টি বেগ সহ ১টি চার্জার ফ্যান নিয়ে ব্রীজ মোড় হইতে শম্ভুগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে অটো গাড়ীতে আসে । অটো সামনে বসে এবং টাকার বেগটি অটো গাড়ীর সামনে চাকার উপরে রাখে এবং চার্জার ফ্যানটি হাতে থাকে । পরবর্তীতে বিকাল ৪ সময় শম্ভুগঞ্জ বাজারে আসলে ভুল বশত টাকার বেগটি রেখে চার্জার ফ্যানটি নিয়ে অটো গাড়ী থেকে নেমে যাই। পরবর্তীতে টাকার বেগের কথা মনে পড়ার সাথে সাথে উক্ত স্থানে এসে দেখেন যে, অটো গাড়ীটি চলে গেছে। । লসম্ভ্যাব্য সব যায়গায় খোঁজাখুঁজি করে টাকার ব্যাগটি না পেয়ে অবশেষে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম।