• বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

নানা আয়োজনে রাজশাহীতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন

মো: ফজলুল করিম, নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

বৃহস্পতিবার ছিলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। ‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প : সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতে নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ঐ বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহিত দিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি(বিএলএস) এর আয়োজনে এবং এসিআই এনিমেল হেলথ্ রাজশাহীর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার রাজশাহী মহানগরীর ডিঙ্গাডোবা মীর আইয়ুব আলী বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থীদের দুধ পান করিয়ে দিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারী এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনষদের ডীন ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএলএস এর কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিনা বেগম ও মীর আইয়ুব আলী বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক শফিকুল ইসলাম মিলন। উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালক শামীম আখতার মায়া, অধ্যক্ষ মাহমুদা খান, বিএলএস এর জাহিদ হোসেন ও এসিআই এর ডাক্তার অনিক।

সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যতালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি উল্লেখ করে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নিয়মিত দুধের ব্যবহার হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ মাথাপিছু দৈনিক দুধের গড় প্রাপ্যতা ২০৮ দশমিক ৭০ মিলিলিটার। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ৪২৭ মিলিলিটার এবং পাকিস্তানে ৫১৫ মিলিলিটার বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ প্রয়োজন। সে হিসেবে দেশে বার্ষিক ১৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন দুধ প্রয়োজন। একটি সুষম ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আট থেকে আশি সকলের জন্যই দুধ খুব স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এই দুধ মানব দেহের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি এবং এর থেকে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ২০০১ সল্ থেকে পালন হয়ে আসছে এই ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’ . এর জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পহেলা জুন তারিখটি নির্ধারণ করে। এখন বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ এই দিবস পালন করে। তবে ভারতে ২৬ নভেম্বর, ‘জাতীয় দুগ্ধ দিবস’ পালিত হয়।

উল্লেখ্য দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এটি বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষকে অর্থনৈতিক, পুষ্টি ও সামাজিক সুবিধা সরবরাহ করে। বক্তব্য শেষে তিনি প্রতিটি শিশুর হাতে এক গ্লাস কওে দুধ তুলে দেন। এছাড়াও এ নিয়ে বিকেল ৫টায় নারিকেল বাড়িয়ার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ