• বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাড়বে লোডশেডিং

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ২২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

যতই দিন যাচ্ছে ততই কয়লা সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। কয়লার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত ৫ মাস ধরে তিন দফা বন্ধ হয় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এখনো কয়লা সংকটে পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে আসতে পারছে না রামপাল। এদিকে, সাময়িকভাবে বন্ধ হতে চলেছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কয়লা ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধের উপক্রম। হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে বাড়বে লোডশেডিং।

বিসিপিসিএল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আমদানির জন্য সিএমসি অর্থ ব্যয় করে। আমদানির ক্ষেত্রে ডেফার্ড পেমেন্ট (দেরিতে পরিশোধ) হিসেবে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কয়লা আমদানির মোট বিল বকেয়া পড়েছে ২৯৩ মিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ১৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা পরিশোধ না করা হলে কয়লার জন্য আর অর্থ দেবে না সিএমসি।

পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৈনিক প্রয়োজন ১২ হাজার টন কয়লার। প্রতি মাসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টন।

কেন্দ্রটিতে কয়লা সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানি পিটি বায়ান রিসোর্স টিবিক। তবে, অর্থ পরিশোধ না করায় কোম্পানিটিও আর কয়লা সরবরাহ করবে না বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে কয়লা সরবরাহ করে বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় সিএমসির ওপর কয়লা আমদানির নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

বকেয়া পরিশোধের জন্য বিসিপিসিএলকে চিঠি দিয়েছে সিএমসি। যা অর্থ মন্ত্রণালয় ও পিডিবিকে অবহিত করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধে আপাতত সক্ষম নয় পিডিবি।

দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট হলেও প্রকৃত উৎপাদন ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট। যা বরিশাল ও খুলনা ছাড়াও ঢাকায় সরবরাহ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে চাহিদা ও উৎপাদনে একটি বড় পার্থক্য তৈরি হবে। বেড়ে যাবে লোডশেডিংয়ের মাত্রা।

এ বিষয়ে পিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, পায়রার উৎপাদন বন্ধ হলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে বকেয়া পরিশোধ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ