হিলিতে পুরো দমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটাই-মাড়াই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানে কৃষকরা।
এদিকে শ্রমিকরা বলছেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় তারা তাদের কাজের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। অপরদিকে সরকারিভাবে বিজ স্যার ও বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ায় এলাকায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা হাকিমপুর উপজেলায় চলছে বোরো ধান কাটাই-মাড়াইয়ের ধুম। মাঠে-মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ফসল। আর সেই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। কেউ ধান কাটায় আবার কেউ বা ধোলায় করার কাজ করছে। সবারই একটাই সপ্ন কালবৈশাখীর ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করা।
কয়েকজন কৃষক বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূল ও পোকামাকড় তেমন না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে এবার ধান উৎপাদনে বেশি খরচ হয়েছে। স্যার, কিটনাশক, সেচ, শ্রমিকের মজুরি সব কিছুতে বাড়তি খরচ হয়েছে তাদের। সেই অনুযায়ী দাম পাচ্ছে না।
তারা আরও বলছেন, সরকার প্রতিমন ধান ১২০০ টাকা দর নির্ধারণ করলেও বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা দরে। তবে সরকারের গোডাউনে ধান দিতে পারলে আমরা একটু লাভবান হতে পারতাম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা দিতে পারিনা। এদিকে ধানের আড়ৎ গুলোতেও ধান নিতে চাইছেনা। আমরা কৃষকেরা ধান নিয়ে খুব বিপদে রয়েছি।
কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমরা শ্রমিকরা ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিঘা ধান কাটলেও খাদ্যমূল্যের দাম বাড়ায় আমাদের পর্যাপ্ত মুজরি আমরা পাচ্ছি না। ১ কেজি চাল কিনতে গেলে ৬০ টাকা লাগে। ১ কেজি আলু কিনতে গেলে ৪০ টাকা লাগে। ১ কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৮০ টাকা লাগে। তাহলে কিভাবে আমাদের পোশাবে?
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, চলতি বোরো মৌসমে এই উপজেলায় ৭ হাজার ১শ ২০ হেক্টর জমি লক্ষমাত্রা থাকলেও এবার অর্জন হয়েছে ৭ হাজার ৫শ ৯৫ হেক্টর জমি। এবার এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৪৭৫ হেক্টর জমি বেশি বোরো আবাদ হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন।