• রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE
শিরোনামঃ
মেয়র প্রার্থী লিটনকে বিজয়ী করতে ০২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা শেখ হাসিনার কারণেই দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম বাংলাদেশ -পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গৌরীপুরে নাপ্তের আলগীতে জনতার মাঝে আ’লীগের উন্নয়ন প্রচারও নৌকায় ভোট প্রার্থনায় অনু তানোরে আদিবাসী যুবকের লাশ উদ্ধার ইমরান খান এখন গৃহবন্দী! রওশন এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জাপা নেতা হারুনের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা চাঁদের শাস্তির দাবীতে সুনামগঞ্জে জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের বিক্ষোভ মিছিল জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি, বিদেশিরা নয়: শামীম নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতরা পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ফারুক চৌধুরী

আশরাফুল আলম , তানোর থেকেঃ / ২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩

রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব,স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। জানা গেছে,সম-সাময়িক রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনিই একমাত্র নেতা যাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সকল প্রটৌকল ভেঙ্গে একক ক্ষমতা বলে দলে যোগদান করিয়েছেন এবং পরবর্তীতে একটানা পাঁচবার দলীয মনোনয়ন দিয়েছেন, করেছেন প্রতিমন্ত্রী, জেলার সম্পাদক ও সভাপতি তিনি একটানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি অর্জন করেছেন সিআইপি মর্যাদা। একজন নেতা বা কর্মীর প্রতি কতটা আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা থাকলেই কেবল একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি এবং বিশ্বমানের নেতা কাউকে এভাবে সম্মানিত করেন সেটার গভীরতা অনুধাবন করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ। অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌচ্ছাতে চাই, সেখান থেকে নেমে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতির শুরু। তার অবৈধ অর্থলিপ্সা না থাকায় তিনি কখানোই রাজনীতিকে বাণিজ্যকরণ করেননি। আর এই বিষয়টি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি। যে কারণে এখানে ফারুক চৌধুরীকে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত নানা রঙে, নানা ঢঙে ও নানা উছিলায় তার বিরোধীতা করে আসছে। এমনকি এমন একজন আদর্শিক, কর্মী-জনবান্ধব ও পরীক্ষিত নেতৃত্বকে সরিয়ে তাদের অনুগত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। কিন্ত্ত ফারুক চৌধুরীর জনসমর্থনের কাছে তারা বার বার পরাজিত হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী তার দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তানোর-গোদাগাড়ী থেকে প্রতিদিন যদি ৫ জন মানুষের উপকার করে থাকেন, তাহলে ৩৬৫ দিনে ১৮২৫ জন এবং ২০ বছরে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মানুষের সরাসরি উপকার করেছেন। সেই সুত্রে উপকারভোগী এই মানুষগুলো তো এখানো এমপির পক্ষে মাঠে রয়েছে এবং জীবন বাজি রেখে কাজ করতে প্রস্তুত আছে। তাহলে তাকে যারা জনবিচ্ছিন্ন বলছে তারা কারা, আর এদের পরিচয় দেবার মতো কিছু আছে কি ? এমপি ফারুক চৌধুরী যখন চার চাকায় চড়তেন তখন এরা ভাঙাচোরা বাইসাইকেল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতেন। এমপি হিসেবে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কি একটিও ভাল কাজ করেননি ? না কি ? যা করেছেন সবই মন্দ ? তিনি চাকরি মেলা করে অনেক বেকারের চাকরি দিয়েছেন, বিনা টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহকারী জজ, পুলিশের এসআই, সদস্য ইত্যাদি, নিজের ব্যক্তিগত কয়েক কোটি টাকা মুল্যর সম্পত্তি কলেজের জন্য দান করেছেন, নিজের সম্মানি ভাতার টাকা দলের দরিদ্র নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষকে দিয়েছেন, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও দালালমুক্ত প্রশাসন দিয়েছেন, রাজশাহী, তানোর, মান্দা, মোহনপুর, বাগমারা, নিয়ামতপুর ও নাচোল এলাকায় এখানো এমপি পরিবারের শত শত বিঘা ফসলী জমিতে সাধারণ মানুষ চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছে, এসব তো কখানো খবরে আসেনি। এমপি ফারুকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক কাজের মধ্যে দু একটি নিয়ে বিতর্ক আলোচনা বা সমালোচনা থাকতেই পারে। কিন্ত্ত জামায়াত-বিএনপির দুর্গ রাজশাহী। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা বা জামায়াত-বিএনপির আঁতুড়ঘর ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের বসতঘর করতে এমপি ফারুকের যে অবদান রয়েছে তা অস্বীকার বা এনিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক জৈষ্ঠ নেতার ভাষ্য, জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের বিপদগামী একশ্রেণির বগী নেতা নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এমপিবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে।তাদের টার্গেট ফারুক চৌধুরী, তারা মনে করেন যেকোনো মুল্য তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই এখানে তাদের অনুগত বা জামায়াত-বিএনপির নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে তাদের হাতের পুতুল করে রাজনীতি নিয়ে বাণিজ্য করতে পারবেন।কিন্ত্ত যতোদিন ফারুক চৌধুরী আছে ততোদিন সেটা সম্ভব নয়। তারা বলেন, ইতমধ্যে ফারুক চৌধুরীকে ঠেকাতে পালের গোদা এক প্রতিমন্ত্রী সেভেনস্টার-বগীস্টার, শতবর্ষী, তিনপ্রজন্ম ইত্যাদি সৃষ্টি করে ধরাশায়ী হয়েছেন। এরপর তিনি কমলা সুন্দরীকে নামিয়েছেন, যে কমলা সুন্দরী নৌকার মনোয়ন চেয়ে বিএনপির সাবেক মেয়রের সঙ্গে গোপণ বৈঠক করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের ঝড় তুলে উধাও হয়েছে বলে গুঞ্জন বইছে।

এদিকে এবার এক রাজমিস্ত্রীর কন্যাকে মাঠে নামানো হয়েছে, যিনি ভদ্র সমাজের চোখে বিতর্কিত ও সমালোচিত। এমনকি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আপত্তির অডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। তিনি

এই অশুভ চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এমপি হবার খোয়াব দেখছে। অথচ তিনি নিজেও জানেন এখানে আওয়ামী লীগবিরোধীরাও ফারুক চৌধুরীর বিকল্প চিন্তা করে না। তবে তিনি নিজেও মাঠে নেমে তৃণমুলের তোপের মূখে লেজ গুটিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।এবিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক, তরুণ উদ্যোগক্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন বলেন, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি, সেই সম্ভবনাও নাই। তিনি বলেন, আগামি জাতীয সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তিনি ফের নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন এটা নিশ্চিত, এনিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ