টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে হামলা ও প্রেসক্লাব গুড়িয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (০৫ মে) বিকেলে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে জরুরী সভায় এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বড় ধরনের কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। এছাড়াও সংবাদকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সভায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিক, সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, আতোয়ার রহমান তালুকদার মিন্টু, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কিসলু, সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, কোষাধ্যক্ষ কামাল হোসেন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ইব্রাহিম ভূঁইয়া, কার্যকরী সদস্য আল আমিন শোভন ও সদস্য তৌফিকুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রেসক্লাবে হামলা ও গুড়িয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওইদিন বিকেলেই একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজহারুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জাহিদ খন্দকারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৯০-১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম থানায় দেখা করার কথা বলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, ১ মে মহান দিবসে হঠাৎ করেই ভূঞাপুরের বিভিন্ন সড়কে সিএনজি-অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেন উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজহারুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদ খন্দকার। এ নিয়ে ভূঞাপুর তথা পুরো টাঙ্গাইল জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ হয়। ক্ষুব্ধ হয় সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও শ্রমিকরা। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও ভূঞাপুর উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আজহার এবং সাধারন সম্পাদক জাহিদ খন্দকার শ্রমিকদের সমন্বয় করে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় আজহারুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রেসক্লাব গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন এবং প্রেসক্লাব ভেঙে দেয়ার জন্য শ্রমিকদের নির্দেশ দেন। শ্রমিকরা লাঠিশোঠা নিয়ে প্রেসক্লাব ভেঙে দেয়ার জন্য প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।