গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকালে আপিলের শুনানি শেষে না মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি হাইকোর্টে যাব। আমার এই বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্টে স্টে ছিল, তারা এই সেটা আমলে নেয়নি। আমি ন্যায়বিচার পাই নাই। এখন আমি সর্বোচ্চ আদালতে যাব। আগামী রোববার আমি হাইকোর্টে যাব।
এর আগে বিকেলে আপিলের শুনানিতে দুইজন আইনজীবীসহ সশরীরে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। শুনানিতে তারা পুনঃতফসিলিকরণের জন্য টাকা জমা দেওয়া এবং জামিনদার খেলাপি হয় না বলে দাবি করেন।
তবে শুনানিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, ব্যাংকের আইন অনুযায়ী আপিলকারী এখনো ঋণ খেলাপি। জাহাঙ্গীর আলম যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার সে ঋণ এখনো পুনঃতফসিলিকরণ হয়নি। এ সময় ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন জমাদানের সময় ঋণ খেলাপি ছিলেন। তাই পরে টাকা জমা দিলেও তিনি খেলাপি।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন আপিল কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। দুই বছর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এর পর মেয়র পদও হারান। তবে গত ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু তার জামিনদারে নেওয়া ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।