• বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE
শিরোনামঃ

শিলা বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা, গোদাগাড়ীতে ধান কাটা-মাড়াই শুরু

সেলিম সানোয়ার পলাশঃ / ৯৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে খ্যাত রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তবে শুরুতেই দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখনও ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়নি। সবে মাত্র ঈদ শেষ হলো তাই শ্রমিকেরা কাজ শুরু করেনি। ধান পুরোপুরি কাটা শুরু হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। তবে এ অঞ্চলের কৃষকরা ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছে।
এদিকে গত বুধবার কাকনহাট এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই এলাকার কৃষকরা।
এছাড়াও ঈদের দুই দিন পরে গোদাগাড়ীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি, আবার আদারপাড়া, ধাতমা, বরশিপাড়া, বলিয়াডাইং, মধুমাঠসহ বেশ কিছু এলাকায় শিলা বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে মাঠে পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় এ বছর ১৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। কিছু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ ধরেই। গড়ে ফলন হচ্ছে বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ভাগ ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে পাকা ধানের ক্ষতির কথা কৃষকরা জানালেও কৃষি অফিস বলছে ধানের ক্ষতি হয়নি। গভীর নলকুপ থেকে ঠিকমত পানি পাচ্ছে না কৃষকরা। যে সকল জমিতে ধানের নরম দানা রয়েছে সেই জমিতে বৃষ্টির পানিতে উপকার হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন আশা করা যাচ্ছে বেশ ভালই হবে। তবে তাপদাহের কারণে জমিতে বেশী পরিমাণ সেচ দিতে হয়েছে। একদিন সেচ দিলে ২ দিন পর আবার জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। ধানের জমিতে পানি ধরে রাখতে পারছে না। ২ দিনেই পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ কিছুটা বেশী হয়েছে। ডিপটিউবওয়েল গুলোতে পানি কম উঠায় কৃষকদের দিনরাত জেগে পানি দিতে হচ্ছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক মকলেস বলেন, ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে আমার ক্ষেতের পাকা ধান কিছু ঝড়ে গেছে ও ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। দ্রুত ধান উঠানে তুলতে না পারলে ক্ষেতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একই গ্রামের কৃষক রজব আলী বলেন, আদাড়পাড়া মাঠে শিলা বৃষ্টি হয়েছে এতে পাকা ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
তবে কয়েকজন চাষি জানিয়েছেন, শ্রমিক সংকট কিছুটা হলেও যদি ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি হয় তাহলে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এ অঞ্চলে ধান লাগানো থেকে কাটা-মাড়াইয়ের বেশিরভাগ শ্রমিকই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শ্রমিকরা এখন ধান লাগানো থেকে কাটা-মাড়াই ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজের সন্ধানে ছুটছে। কারন হিসাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শ্রমিকরা বলছে ধান লাগানো থেকে কাটা-মাড়াইয়ে যে মজুরি পাওয়া যায় তার চাইতে অন্য কাজে বেশী মজুরি পাওয়া যাচ্ছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে গোদাগাড়ীতে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েগেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ভাগ ধান কাটা হয়েছে। এবার ধানে কোন প্রকার রোগ ও পোকামাকড় না থাকায় এবার কৃষকরা ধানের আশানারুপ ফলন পাচ্ছে। সাথে দামও ভাল পাচ্ছে। আশা করা যায় কৃষকরা যথাসময়ে তাদের ফলস ঘরে তুলতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ