• বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:৩১ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

গ্রেফতারের ৮ ঘণ্টা পর মুক্ত মাহি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতারের প্রায় আট ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ওমরা পালন শেষে দেশে ফেরার পর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দুপুর দেড়টার দিকে মাহিয়া মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই মামলায় তাকে জামিন দেন আদালত।

এর আগে দুপুরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন। পরে মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাহিয়া মাহি ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এর আগে মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে স্বামী রকিব সরকারের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।

ফেসবুক লাইভে মাহি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাঁচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।

ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মাহি। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বাসন থানার এসআই রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ