বান্দরবানের রংয়াংছড়িতে কেএনএ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনের দাফন রংপুরে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় নিহতের নিজ গ্রাম রংপুর নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কোর্ট পাড়া এলাকায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন শেষ করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে নিহত নিজাম উদ্দিনের মরদেহ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় রংপুর সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামে নেওয়া হয়।
এসময় নিহত নাজিম উদ্দীনের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে লে. কর্ণেল মাহবুবের উপস্থিতিতে দুপুর সোয়া ১টায় পরিবারের কাছে নিহত নাজিম উদ্দিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বাদ জোহর কোর্ট পাড়া জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কোর্ট পাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তুরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের জ্যাঠাত ভাই আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত নাজিম উদ্দীন রংপুর নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কোর্ট পাড়ার মৃত সমশের আলীর ছেলে। তার দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে নাইমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছোট ছেলে এবারে এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
নিহতের ছোট ভাই আজিম উদ্দিন জানান, আমার ভাই তো দেশের জন্য জীবন দিলেন। তার দুটি সন্তান রয়েছে, সেনাবাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব নিলে আমাদের পরিবার কৃতজ্ঞ থাকবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতে যাওয়া দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাসদস্যদের ওপর গত রোববার (১২ মার্চ) আনুমানিক বেলা ১টায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। দুইজন সেনা সদস্য আহত হন। আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর জানায়, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন বিগত ৩০ বছর যাবৎ অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।