• বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:২০ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

নাটোরে সমতল ভূমিতে আপেল গাছ সহ ১০০ প্রজাতির মিশ্র ফলের বাগান

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ১১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

নাটোরের হয়বতপুর দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামে মিশ্র জাতের ফলের বাগান ও পাঁচটি জাতের আপেলের বাগান দেখা গেছে ।বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু ফল আবাদের জন্য উপযোগী। বর্তমানে সারাদেশে ১৩০ প্রজাতির ফলের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রতি বছর ৭০ প্রজাতির প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফলের আবাদ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে। ফল একটি অর্থকরী ফসল। ফলগাছ অন্যান্য গাছের ন্যায় কাঠ দেয়, ছায়া দেয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ সবল জীবন লাভ করা যায়। বাংলাদেশে প্রায় ৮৮ ভাগ মানুষ ভিটামিন এ, ৯০ ভাগ মানুষ ভিটামিন সি, ৯৩ ভাগ মানুষ ক্যালসিয়ামের অভাবে ভোগে। আমাদের দেশে এ পুষ্টি ঘাটতি পূরণে ফল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
দুদকের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আতিকুর রহমান বলেন আমার বড় ভাই বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো: আরিফুল ইসলামের সহযোগিতায় আমরা যৌথ পরিবার পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও এলাকার কর্মসংস্থান তৈরি করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ৪-৫ জন শ্রমিক নিয়মিত বাগানে কাজ করে থাকেন। তিনি আরো বলেন আমার চাকরির পাশাপাশি আমি এই বাগান পরিদর্শন করি এবং বাগান পরিদর্শনের সহযোগিতা করেন আমার মিসেস খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান,বড় বোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, ছোট বোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বড় ভাই বিসিকের উপ ব্যবস্থাপক, তার মিসেস শিক্ষকা।

মোট ৩৫ বিঘা কৃষি জমি মধ্যে ১০ বিঘা লিজ/ ভাড়া হিসেবে চাষাবাদ করা হয়।

এসব জমির মধ্যে ১০০ প্রজাতির ফলের চাষ করে থাকি। যেসব ফলের চাষ করে থাকি এগুলো হলো কাশ্মীরী কুল, বল সুন্দরী কুল, ব্রুনাই কিং আম ৪-৫ কেজি ওজন, রেড অস্ট্রেলিয়ান শরিফা, ব্যানানা ম্যাংগো, বারি ৪ আম, গৌড়মতি আমসহ ১০-১২ প্রজাতির আম, থাই রুবি লংগানচাইনিজ কমলা, দার্জিলিং কমলা, মাল্টা বারি ১,আপেল ফুলথাই, রুবি লংগান, অগ্নিসর কলা, ভিয়েতনামের ডাব, পাকিস্তানি লং মালবেরী, ফিলিপাইন জাতের আখসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ।

প্রায় ২৩-২৪ বিঘা আমের বাগান সাথে সাথি ফসল হিসেবে বেগুন করলা, শিম, বরবটি, কলা, তরমুজ, নালিম, মরিচ, শশা, লাউ, ঝিংগা, চিচিঙ্গা চাষ হচ্ছে, ১ বিঘা আপেল বাগানে প্রায় ৭০ টি আপেল গাছে যার মধ্যে আন্না, হরিমন৯৯, টার্কিশ সুইট, গ্রেনি স্মিথ এবং ডোর্সেট সুইট অন্যতম , যার প্রতিটি গাছে আপেল ধরেছে থোকায় থোকায়। তাছাড়া ৩০০টি মাল্টা এবং কমলা গাছ আছে, ছোট একটি ডেইরি ফার্ম আছে ৩ গাভি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি ছোট বড় গরুতে সম্প্রসারিত হয়েছে, ৮-৯ বিঘা জমিতে ধান, ভুট্টা, গম, সরিষা চাষ হয়ে থাকে যা অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত , ৫-৭ বিঘা পুকুরে বিভিন্ন জাতের কার্প জাতীয় মাছ চাষ হয়, এবং পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করা হয় এবং ভুট্টা গম, খড় গবাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়। গবাদিপশুর উচ্ছিষ্ট জৈবসার হিসেব জমিতে ব্যবহার হয়।প্রায় ১০০ জাতের দেশি বিদেশি ফলের গাছে যার প্রতিটিতে ফুল এবং ফল এসেছে।বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট একুরিয়াম যা গ্রামের পরিবেশকে করেছে দৃষ্টিনন্দন।

বাগান মালিকদের কোন সহযোগিতা বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান বলেন নাটোরে নতুন করে কমলা চাষের পাশাপাশি নতুন জাতের বিভিন্ন ফলের চাষ করে আসছেন নাটোরের বিভিন্ন কৃষকরা যা দৈনিক পুষ্টির চাহিদা মিঠাই। এছাড়াও বর্তমানে নাটোরের হয়বতপুর দিয়ারসাতুরা গ্রামে ১০০ প্রজাতির ফলের গাছ ও ৫ জাতের ৭০ টি আপেলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে ফুল ফল চলে আসছে আমরা অবগত রয়েছি। এসব বাগান গুলো নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য ইউনিয়ন উপসহকারীকে নির্দেশ দিয়ে থাকি। সুত্রঃ দৈনিক দেশবাংলা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ