• বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

ইভিএমে দেশের ৯০ ভাগ মানুষের আস্থা নেই: জি এম কাদের

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ১০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ইভিএম এর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইভিএম এর ওপর দেশের ৯০ ভাগ মানুষের আস্থা নেই। আমরা কারচুপির নির্বাচন চাই না। কারচুপির নির্বাচনে আমরা জিততেও চাই না। আমরা চাই মানুষের ভোটাধিকার। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্যজীবি পার্টির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি নির্বাচন কমিশন অচল ও অকেজো ইভিএম সচল করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অকেজো ইভিএমে নির্বাচনই বিপর্যস্ত হবে। দেশের সাধারণ মানুষ ইভিএম বিশ্বাস করে না। ইভিএমে ভোট দিতে চায় না। দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির আধুনিক মেশিন।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম ক্রয় করেছিল নির্বাচন কমিশন। গত ৪ মাস ধরে টানা কিউসি করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সচল ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণেই নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ ভোটাররা। কখনো ফিঙ্গার মিলছে না, আবার কখনো অকেজো হয়ে যাচ্ছে ইভিএম। এমন বাস্তবতায় অকেজো ইভিএম নির্বাচনের জন্য তৈরি করা দুরভিসন্ধিমূলক। আমরা মনে করি, অকেজো ইভিএমে নির্বাচনই বিপর্যস্ত হবে। ইভিএম অকেজো হওয়ায় অনেক সময় নিজস্ব লোক দিয়ে হাতে লেখা ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষ মনে করছে সরকার ভোটের ফলাফল পাল্টে দিতেই ইভিএমে নির্বাচন করতে চাচ্ছে।

কাদের বলেন, এখন রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল একাকার হয়ে গেছে। সরকারি দলের হয়ে কাজ করছে রাষ্ট্রের কর্মচারীরা। সরকারের কর্মচারীরা দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করবেন। সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে তারা বাধ্য নয়। পুলিশ ও প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী। দেশের প্রতিটি দল বা মানুষকে সমান চোখে দেখতে হবে। সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, অনেক আগে থেকেই দেশে ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি চলছে। সড়ক মহাসড়ক দখল করেও চলছে চাঁদাবাজি। এখন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের পরিবর্তে দুষ্টের লালন ও শিষ্টের দমন চলছে। এমন একটি দেশের জন্য আমরা রাজনীতি করছি না। এখন লুটেরারা বেশি ইজ্জত পায়, যারা লুটপাট করে তাদের সমাজে সম্মানিত মানুষ মনে করা হচ্ছে। আর যারা সৎ ও আদর্শবান তাদের সমাজে অযোগ্য এবং বোকা মানুষ মনে করা হচ্ছে। দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে মানুষ।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মীর সামছুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় নেতা পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী, হাফিজুর রহমান চৌধুরী, আবুল কাশেম প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ