• বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৩:০২ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

দরিদ্রের নাগালের বাইরে এখন শাকও!

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মাছ, মাংসের বাজার যখন চড়া, তখন দিনমজুর শ্রেণির মানুষের ভরসা শাক-সবজি। নিত্যপণ্যের উচ্চ দর শাকের বাজারে টেনে এনেছে নিম্নমধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। সেখানেও নেই স্বস্তি।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আসলেই যেন বেড়ে যায় সব পণ্যের দর। বাদ যায় না শাকও। সপ্তাহের ছুটির দিনে সে চিত্রই যেন ধরা পড়ল রাজধানীর বাজারে।

নগরীর তুলনামূলক দরিদ্র মানুষের বসবাস হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীর চর, রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুরের একাংশ, আদাবরের একাংশ, গাবতলি, মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায়। জীবনযাপনের খরচ কমাতে নগরের মূল অংশ থেকে কিছুটা দূরেও বসবাস করেন অনেকে। বাসা ভাড়া কম হওয়ায় নিম্নমধ্যবিত্তদের ঠিকানা হয়ে উঠেছে বসিলা, কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর, আরশিনগর, মাতুয়াইল, কাজলা, সাইনবোর্ড, নন্দিপাড়া, বাসাবো এলাকা।

শুক্রবার এসব এলাকার বাজার দর বলছে, নগর যেন অতি ধনীদের বসবাসস্থল। কোথাও ১৫ টাকার কমে এক আটি শাক বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

বাজারে এক আটি লাউ শাকের দাম সর্বনিম্ন ৩০ টাকা। ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে লাউ শাকের তিনটি ডাটা। কিছুটা বড় আকারের হলে সেই দাম পৌঁছে যাচ্ছে ৪০ টাকায়।

একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডাটা ও কুমড়া শাক। লাল শাকের আটি ২০ টাকা, একই দর পালংশাকের। বাজারে সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে কলমি শাক। আটি ১৫ টাকা। কচুর শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা।

ছুটির দিনে বাজার করতে আসা মমিনুর রহমান শাকের দর দেখে অবাক। ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে রাজধানীর লালবাগ এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘বোতলের কারখানায় কাজ করি। আমগো ইনকাম খুব কম। এক আটি শাক ১৫ টাকা, ২০ টাকা। বড় লোকগো জন্য সমস্যা না। আমগো জন্য অনেক সমস্যা।’

নগরীর গাবতলি হাণ্ডিপট্টি এলাকার বাসিন্দা মোমেনা আক্তার পোশাক শ্রমিক। তার ভাষ্যমতে, গতকাল রাতেও তিনি দুই আটি লাল শাক ৩০ টাকায় কিনেছেন। তবে শুক্রবার সকালে ৪০ টাকার কমে দুই আটি শাক পাওয়া যাচ্ছে না।

ঢাকা মেইলকে মোমেনা বলেন, ‘তিন আটি লাল শাক ৫০ টাকাও কইছি। তাও দেয় নাই। গত রাতেই ১৫ টাকা আটি নিছি। পালংশাক দাম করলাম। একই দাম। এক দাম ২০ টাকা।’

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী রুহুল আমিন। প্রতিদিন ৫০০ টাকা মজুরীতে কাজ করেন তিনি। অথচ আয়ের বেশিভাগই বাজারের পেছনেই চলে যায়।

রুহুল আমিন বলেন, ‘বেতন থেকে বাসা ভাড়া দেই। মাছ-মাংস খুব একটা কিনি না। শাক-সবজির উপর দিয়াই চলি। এখন শাকের দামও আয়ত্বের বাইরে যাচ্ছে। এইভাবে জীবন চলে?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ