রেলওয়ের তিন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করছে সরকার। গেল ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অলাভজনক অ্যাখ্যা দিয়ে রেলকে বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি।’
এ সময় টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানের অপর প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুর সেকশনে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, একই সঙ্গে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার রুটে লুপ লাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
এদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে রূপপুর স্টেশন। এই স্টেশন হয়ে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহার করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন এবং স্টেশন রয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।