• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

রিজার্ভ থেকে আর কোনো তহবিল গঠন করা হবে না : গভর্নর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ৫৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আপাতত আর কোনো তহবিল গঠন করা হবে না। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ তহবিল থেকে দেয়া অর্থ সমন্বয় করে এর আকার ধীরে ধীরে কমানো হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল বিষয়ক একটি চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।

রপ্তানি খাতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছিল এবং এর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে অর্থ নেয়া হয়েছিল। এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে এই তহবিল থেকে বিতরণ করা অর্থ সমন্বয় করা হবে, অর্থাৎ তহবিলের অর্থ ফেরত আসার পর নতুন করে আর সেই অর্থ বিতরণ করা হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ধরে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিলে অংশগ্রহণকারী ৪৯টি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গভর্নর রিজার্ভের অর্থ নিয়ে কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের অর্থে তহবিল গঠনের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে ইডিএফে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বাদও দিতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার নিয়ে গঠন করা হয়েছে ইডিএফ।

আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আরও পরের দিকে ওয়াশিংটনে অনুমোদিত হতে পারে। এমন সময়ে গভর্নরের এ বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি–পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকে আরও সহনশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়ন ও প্রসারের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থসামাজিক উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রাক্‌-অর্থায়ন তহবিলটি দেশের রপ্তানি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

এ অর্থায়ন কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে কাঁচামাল ক্রয় বা আমদানির বিপরীতে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের দেশি মুদ্রায় ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকবে, যার মেয়াদ হবে ১৮০ দিন। ব্যাংক পর্যায়ে সুদহার হবে দেড় শতাংশ।

এ অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি নতুন এই তহবিলের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. আফজাল করিম এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সেলিম আর এফ হোসেন তহবিলটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ