ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গতকাল শনিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিনিপ্রো ছাড়াও রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসাতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতেও হামলা হয়েছে। এতে ইউক্রেনের অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েছে বিবিসি জানিয়েছে, ডিনিপ্রো শহরে নয় তলা একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ভবনটির কয়েকটি ফ্লোর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে এই হামলায় ১২ জন নিহতের পাশাপাশি ১৪ শিশুসহ অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছে।
শনিবার রাতে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করলেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে।
ডিনিপ্রোতে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারের কাজ সারা রাত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য, প্রতিটি জীবনের জন্য লড়াই করছি।’
কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ভবন থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবশ্য আবাসিক এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকটি কেন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য নেই। কারণ, এই ভবনটি নিকটতম বিদ্যুৎ অবকাঠামো থেকে কিছুটা দূরে।
অবশ্য বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ডিনিপ্রো অ্যাপার্টমেন্ট হামলায় নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ‘রাশিয়ান সন্ত্রাস’ এবং বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধ করতে আরও অস্ত্রের জন্য নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্কসহ কিয়েভের অন্যান্য মিত্ররা শনিবারের রুশ হামলার নিন্দা করেছেন। ডিনিপ্রোতে হওয়া হামলাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ব্রিঙ্ক লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় সাহায্য করার জন্য আরও নিরাপত্তা সহায়তা আসছে।’