• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও তিনদিন

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ / ২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩

দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। যা আরও তিনদিন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রার ধারাবাহিকতা গত ৩০ বছরে একই রকম। চলতি মাসে স্থানভেদে যেখানে যত তাপমাত্রা থাকার কথা তেমনই আছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও চার কারণে সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।

সংস্থাটি জানায়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একইসাথে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে।

এদিকে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ সকালে ঢাকাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তুলনায় আজ রাজধানীর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজকেও ঢাকাতে কুয়াশা সেভাবে কমার কোনো আভাস নেই। কুয়াশা খুবই সামান্য পরিমাণে কমলেও তাতে ঢাকার আকাশ পরিষ্কার হবে না।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত থাকতে পারে।

গতকাল ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশাল জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের কিছু অঞ্চল মিলিয়ে মোট ১৯ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এটা এখনো চলছে।

চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১.৫ ডিগ্রি। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি থাকলেও দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের অনুভূতি বিরাজ করছে। যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হওয়ার কারণ

একটি অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় সকাল ৯টায়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিকেল ৩টায়। এই দুই তাপমাত্রার ব্যবধান যত কম হবে শীতের অনুভূতি তত বেশি হবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই তাপমাত্রার ব্যবধান অনেকটাই কমে এসেছে। কুয়াশার উপস্থিতির কারণে সূর্যের তাপ আসতে পারে না। আবার ভূপৃষ্ঠের তাপও ঊর্ধ্বমুখী চলে যেতে না পারায় দিনের তাপমাত্রাও কমে আসে। কুয়াশার মধ্যে হিউমিডিটি অনেক বেশি থাকে, পানির কণা বেশি থাকায় সুপ্ত তাপ বেশি থাকে। ফলে কুয়াশা থাকলে শীতের অনুভূতিও বেশি থাকে।

ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হওয়ার তৃতীয় কারণ, বাতাসের দিক ও গতি। বর্তমানে পশ্চিম দিক থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে বাতাস প্রবেশ করছে। হিমালয় হয়ে বাতাস আসায় তা অনেক ঠাণ্ডা হয়। এতে দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শীতের আধিক্য বেশি। এ ছাড়া এখন সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে হেলে গেছে। দেশের যত উত্তরে যাওয়া যায়, সূর্যের দূরত্ব ততই বাড়ে। এসব অঞ্চলে সূর্যের আলো কম পৌঁছায়। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ