রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ফখরুল-আব্বাসের জামিন দেন।
তবে হাইকোর্টে ফখরুল-আব্বাসের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আগামীকাল (বুধবার) আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির।
এর আগে বিচারিক আদালতে দুই বিএনপি নেতার আবেদন চার দফা নাকচ হয়। গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান, গত ১৫ ডিসম্বের মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন, ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন এবং ৯ ডিসেম্বর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। এরপর উচ্চ আদালতে যান বিএনপির দুই নেতা। আজ (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্ট দুই নেতাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। কিন্তু তাদের মুক্তি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।কারণ তাদের জামিন ঠেকাতে আপিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের।
এরপর মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।