• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
  • Arabic AR Bengali BN English EN French FR German DE

তানোরে ছুটির দিনে থাকেন না বরেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিপাকে অপারেটররা

আশরাফুল আলম, তানোর থেকেঃ / ৯৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

রাজশাহীর তানোরে আলু চাষের ভরা মৌসুমেও ছুটির দিনে কর্ম এলাকায় থাকেন না বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা।

ফলে, গভীর নলকুপের পুড়ে যাওয়া মটার নিয়ে বিপাকে পড়ছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতার গভীর নরকুপ অপারেটররা।

অপর দিকে পুড়ে যাওয়া গভীর নলকুপ থেকে আলুর জমিতে সময়মত সেচের পানি না পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের চাপের মুখে অপারেটররা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তানোর জোনের অফিসে দিনের পর দিন ধর্ণা ধরেও পুড়ে যাওয়া মটার ম্যারামত করতে না পারায় গভীর নলকুপের কৃষকদের কাছে যেতে পারছেন না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তানোর জোনের আওতায় দেবিপুর মৌজার, জে-এল নং ৩২২, দাগ ২০৪,গভীর নলকুপের অপারেটর আশরাফুল ইসলাম বলেন, আলুতে পানি সেচের ভরা মৌসুমে সেচ প্রদানের সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মটারটি পুড়ে যায়।

তিনি বলেন, সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ম্যাকানিক মেহেদী হাসানকে জানানোর পর তিনি গভীর নলকুপে গিয়ে মটার পরীক্সা নিরিক্ষা করে পুড়ে যাওয়ার সত্যতা পেয়ে মটার অফিসে আনতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, কিছুক্ষন পরই মটারটি খুলে এনে অফিসে জমা দিই। কিন্তু অফিসে কেউ না থাকায় পুড়ে যাওয়া মটারটি এখনো ওই ভাবেই পড়ে আছে।কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার অফিস না খোলা পর্যন্ত মটার ম্যারামতের কাজ শুরু করা যাবে না।

তিনি বলেন, আলু নষ্টের মুখে কৃষকরা তাদের আলুর জমিতে সেচের জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছেন অথচ বরেন্দ্রের কর্মকর্তা/কর্মচারী বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত দেশেরবাড়িতে গিয়ে আমার আয়েশে ছুটি কাটাচ্ছেন।

এব্যাপারে ওই গভীর নলকুপের আওতার আলু চাষী তানোর সদর গ্রামের পিয়ার মন্ডর বরেন, ১০ বিঘা জমির টপ ড্রেসিং করা হয়েছে, এই মুহুর্তেই পানি সেচ দেয়া খুবই জরুরী কিন্তু পুড়ে যাওযা মটার মেরামত না হওযায এবং সময়মত সেচ দিতে না পারলে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

তারমত ওই গভীর নলকুপের আওতায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে আলুর টপ ড্রেসিং করা হয়েছে কিন্তু সময়মত পানি সেচ দিতে না পারায় ওই আলু গুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৪ টি গভীর নলকুপের পুড়ে যাওয়া মটার অফিসে পড়ে আছে রোববার অফিস খোলার পরই ম্যারাতের কাজ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, নিজ নিজ কর্মস্থল এলাকায় সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের থাকার নিয়ম থাকলেও তাদের বেশীর ভাগ কর্মকর্তারা থাকেন না।

এর সাথে তাল মিলিয়ে আলু চাষের ভরা মৌসুমেও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মেকানিকরাও নিজ ক্মেলাকায় না থেকে দেশের বাড়িতে গিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। ফলে কৃষকরা তাদের আলুর জমিতে সময়মত পানি সেচ দিতে টারছেন না।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তানোর বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের মেকানিক মেহেদী হাসান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি রাজশাহীর বাড়িতে আছি, আগামীকাল শনিবার গিয়ে পুড়ে যাওয়া মটারের মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

এবিষয়ে যোগাযোগের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর মুঠো ফোনে একাধীকার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ